Last Updated on September 20, 2021 6:22 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। মাত্র এক সপ্তাহ! সাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের প্রভাব সবেমাত্র কাটিয়ে উঠেছিল শহরবাসী। কিন্তু, তার মাঝেই হাজির নতুন একটি ঘূর্ণাবর্ত। গতবারের মত এবারেও সাগরের এই অতিথির অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গ উপকূল বরাবর। ফলে, রাজ্যের তথা দক্ষিণবঙ্গের প্রাপ্তি অতি ভারী বর্ষণ। যদিও, এই বিষয়ে আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিলেন আবহাওয়াবিদরা। সেই মতই গতকাল (সোমবার) রাত থেকে নাগাড়ে বৃষ্টি শুরু হয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। শহরের অপেক্ষাকৃত নীচু অংশ কার্যত জলের তলায়। ঠনঠনিয়া, কলেজ স্ট্রিট, সেক্টর ফাইভ সহ একাধিক জায়গায় জমেছে হাঁটু-জল। বিপাকে সাধারণ মানুষ। যান চলাচল বিপর্যস্ত।গত ২৪ ঘন্টায় আলিপুরে বৃষ্টি হয়েছে ১১৭.২ মিমি। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের অধিকর্তা গণেশ কুমার দাস জানান, গতকাল উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সন্নিহিত উত্তর ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল বরাবর অবস্থানরত ঘূর্ণাবর্ত সরে এসেছে গাঙেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং সন্নিহিত এলাকার দিকে।
যার ফলে বৃষ্টি বেড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। এছাড়াও, কলকাতার উপর দিয়ে বিস্তৃত হয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। সবমিলিয়ে, জোরদার বৃষ্টি চলছে শহরে। এর পাশাপাশি, বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প ঢুকছে সমতলে। সেটারও একটা প্রভাব রয়েছে। আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, আজ, সোমবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া জেলায়। ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, দুই মেদিনীপুর জেলায়। জারি কমলা সতর্কতা। আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায়। জারি হলুদ সতর্কতা। আগামী ২৪ ঘন্টায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি, বজ্রপাতের সময় বাইরে বেরোতে নিষেধ করার সঙ্গে সঙ্গে কংক্রিটের বাড়িতে আশ্রয় নেওয়ার কথা জানিয়ে সতর্ক করেছে আবহাওয়া দফতর। এছাড়াও, পুরনো জরাজীর্ণ বাড়িতে থাকতে বারণ করা হয়েছে। এর সঙ্গে নদীর জলস্তর বাড়ার সম্ভাবনা এবং নীচু এলাকা জলমগ্ন হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। কাঁচা বাড়ি এবং রাস্তা, শস্যের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে।