Last Updated on November 10, 2021 6:40 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।
শুভেন্দুকে সরাসরি আক্রমণ করে বুধবার ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন হাওড়া সদরের দলের সভাপতি সুরজিৎ সাহা। তিনি বলেন, “শুভেন্দুবাবু গতকাল মঙ্গলবার যে মন্তব্য করেছেন আমার মনে হয় অরূপ রায়ের সঙ্গে ওনারই ভালো সম্পর্ক রয়েছে। না হলে এই তথ্য ওনার পক্ষে জানা সম্ভব হতো না। উনি আগে এই অভিযোগ প্রমাণ করুন। উনি মাত্র ৬ মাস বিজেপিতে এসে ভারতীয় জনতা দলের দীর্ঘদিনের পার্টি করে আসা লোকদের সার্টিফিকেট দেবেন নাকি ?” সুরজিৎ সাহা বলেন, “মঙ্গলবার রাজ্যে আমাদের একটা কমিটি তৈরি করা হয়েছে। আমার মতে এই কমিটি সিস্টেম মেনে করা হয়নি। কারণ নিয়ম একটাই, জেলাতে যে কমিটিই গঠন করা হোক না কেন সেখানে জেলা সভাপতিকে কমিটির মাথায় রাখতে হয়। কিন্তু মঙ্গলবার যে কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে জেলা সভাপতিকে কো করা হয়েছে। অর্থাৎ এটা শুধু জেলা শুধু সভাপতিকে অপমান করা নয়, এটা পার্টির নিয়ম শৃঙ্খলার অপমান। এটা আমার মনে হয়েছে ভারতীয় জনতা তৃণমূল কংগ্রেস কমিটি তৈরি করা হয়েছে। যিনি সদ্য বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন আগামী দিনে দলে থাকবেন কিনা গ্যারান্টি নেই তাঁকে এখানে চেয়ারম্যান করা হয়েছে। দলের সদরের জেলা সভাপতিকে কমিটিতে কো করা হয়েছে। শুভেন্দুবাবু জানেন না বিজেপিতে কারা কাজ করেন ? উনি শুধু তৃণমূলে যারা কাজ করেন তাদের নাম জানেন।”
এদিন সুরজিৎ সাহা আরও বলেন, “আমরা বরং ওনার ( শুভেন্দু ) কাছে সার্টিফেকেট চাইব নারদা কান্ডে ওনাকে যে টাকা নিতে দেখা গেছে উনি সৎ কিনা ? এই প্রশ্ন জনসাধারণের। এই প্রশ্ন বিজেপির কার্যকর্তাদের মধ্যেও আছে। উনি ৬ মাস দলে এসে আঙুল তুলবেন এটা মেনে নেবনা। ওনাকে আগে বলতে হবে উনি যে মন্তব্য করেছেন সেটা ভুল বলেছেন। নাহলে ওনাকে প্রমাণ করতে হবে উনি নারদা থেকে টাকা নেননি। উনি নিজের সততা প্রমাণ করুন। আমার সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও অধিকার ওনার নেই। উনি যদি পার্টির নিয়ম শৃঙ্খলাকে তৃণমূলীকরণ করবেন বলে মনে করেন সেটা হাওড়া সদর জেলার কোনও কার্যকর্তা মেনে নেবেন না। কাল উনি দল ছেড়ে চলে যাবেন কিনা তার সার্টিফিকেট বিজেপি চাইতে পারে। উনি আমার মতো ২৮ বছর ধরে বিজেপি করে আসা কারও সার্টিফিকেট চাইতে পারেন না।”
বুধবার হাওড়ায় ছটপুজোর এক অনুষ্ঠানে এসে সুরজিৎ সাহার বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, পার্টির ভিতর কিছু হলে পার্টির ফোরামে বলা হয়। দলীয় কর্মীদের সমস্যা, বক্তব্য থাকতেই পারে। তবে তা বলার এবং সমাধানেরও জায়গা আছে। সবকিছু বাইরে বলার জিনিস নয়। শুভেন্দুর বক্তব্য প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, যাই বলুন সর্বসমক্ষে তা বলার নয়। যদি কেউ বলে থাকেন তাঁর মনে ক্ষোভ-বিক্ষোভ আছে। সেটা শোনার জন্য এবং সমাধানের জন্য লোক আছে। সেখানেই বলা উচিত।