Last Updated on June 24, 2022 4:48 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। পেট্রোল ও ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি হয়েই চলেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে ক্রুড অয়েলের দাম যাই থাকুক না কেন, পেট্রোল ও ডিজেলের দাম কমার কোন লক্ষনই নেই। এই আবহে ব্যাটারি চালিত বাস গুলিকে প্রমোট করতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। পাশাপাশি ব্যাটারি চালিত বাস গুলি যত বেশি করে কলকাতা শহরে চালানো হবে, ততই দূষণের মাত্রা কমবে। তাই আগামী দিনে সমস্ত সরকারি বাস গুলিকেই ক্রমে ব্যাটারি চালিত বাসে কনভার্ট করার ইচ্ছে প্রকাশ করছে রাজ্যে সরকার। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর যে কোনো উন্নত শহরে এভাবেই ব্যাটারিচালিত বাসকে প্রমোট করা হয়।
শহরকে দূষণমুক্ত করতে এবং শহরবাসীকে পরিবেশ বান্ধব উন্নত পরিষেবা দিতে খুব শীঘ্রই আরো নতুন ৪০০ ই বাস রাস্তায় নামাচ্ছে রাজ্য সরকার। ২০২৪ এর মার্চের মধ্যে এই নতুন ৪০০টি ই বাস রাস্তায় নামানো হবে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, শহরকে দূষণমুক্ত করতে ইতিমধ্যেই ১২০০ বাসের অর্ডার দেওয়া হয়েছে। যেভাবেই ব্যাটারিচালিত ইলেকট্রিক বাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার, একইভাবে সেই বাস গুলির জন্য ব্যাটারি চার্জিং সেন্টার আরো বৃদ্ধি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
ইতিমধ্যে ৭৬টি চার্জিং স্টেশন করা হয়েছে রাজ্য জুড়ে। তবে যে বিপুল পরিমাণ ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামানো হচ্ছে, তার তুলনায় চার্জিং সেন্টার খানিকটা কম বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। এক্ষেত্রে ইলেকট্রিক বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রেখেই আরও বেশি পরিমাণে চার্জিং সেন্টার তৈরী করার দিকে অগ্রসর হয়েছে পরিবহণ দফতর। কলকাতার পরিবেশ স্বচ্ছ রাখতে ই বাস আরো বেশি করে চালোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০ টি ই বাস চলছে রাজ্যজুড়ে। আরও বেশি পরিমাণে ইলেকট্রিক বাস সরবরাহ দিতে না পারার মূল কারণ হল লিথিয়াম ব্যাটারি। এই ধরনের ব্যাটারি ভারতে তৈরি হয় না। লিথিয়াম দেশে পাওয়া রায় না বলেই বেশি পরিমাণে ইলেকট্রিক বাস নামানো সম্ভব হচ্ছে না। তবে এক্ষেত্রে কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করা যায়, তার চিন্তাভাবনা করছে রাজ্য সরকার। প্রয়োজনে বিদেশ থেকে লিথিয়াম আনানোর কথাও চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। অন্যদিকে যে সকল সংস্থা এই ধরনের ব্যাটারি তৈরি করে তাদের সঙ্গে কোলাবরেশন করে আরও বেশি পরিমাণে ইলেকট্রিক বাস রাস্তায় নামানোর বিষয়ে চিন্তা ভাবনা বাস্তবে রূপায়িত করার পথে এগোচ্ছে রাজ্য পরিবহণ দফতর।