Last Updated on November 21, 2023 7:54 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। সুপ্রিম কোর্ট ও উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশ অমান্য করে আবারও ইসির বৈঠক ডাকলেন পদ্মপালের নিয়োগ করা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেয়ারটেকার উপাচার্য। আগামী ২৪ নভেম্বর আবার ইসির মিটিং ডাকা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে আগেই জানিয়েছিল, রাজ্যপালের নিয়োগ করা কেয়ারটেকার উপাচার্যদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নীতিগত সিদ্ধান্ত ও কোনো বৈঠক ঢাকার ক্ষমতা নেই। তারা শুধুমাত্র ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব পালন করবেন তারা। এরপরেও চলতি মাসের ৭ নভেম্বর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ইসির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্নেহ মঞ্জু বসু কি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল, কোনো অস্থায়ী উপাচার্য এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল বৈঠক ঢাকতে পারেন না।
অস্থায়ী উপাচার্য বৈঠক ডাকলে তা ২০০৯ সালের বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের লঙ্ঘন করা হবে। তারপরও যদি কোন বৈঠক করা হয়,তাহলে সেই বৈঠকে অনুমতি দেবে না রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতর। সেই সময় উচ্চশিক্ষা দপ্তরের চিঠি আসার পরই কর্মসমিতির বৈঠক স্থগিত রাখে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কিন্তু মাসের শেষে আবারও এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠক ডেকে নতুন করে বিতর্কের সৃষ্টি করলেন কেয়ারটেকার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ। সূত্রের খবর, কর্মসমিতির এই বৈঠকে বাজেট ও সমাবর্তন নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে । এই বৈঠকের জন্য উচ্চশিক্ষা দপ্তরের কাছে অনুমতি চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে। যদিও এখনো পর্যন্ত কোনো অনুমতি মেলেনি বলেই জানা গিয়েছে। এ প্রসঙ্গে কেয়ারটেকার উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেন, ইসির বৈঠক নিয়ে রাজ্য সরকারকে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে কোন নিয়ম ভঙ্গ করা হচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ১২ টা বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা বলা হয়েছিল। যাদবপুর নয়। আর এইভাবে কতদিন অচল অবস্থা চলতে পারে। এবারের ইসির মিটিং এ কনভোকেশন, বাজেটের মতো খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে। রাজ্য সরকার যদি অনুমতি না দেয় তখন ভেবে দেখবো।
এ বিষয়ে যাদবপুরের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের সদস্য তথা ইংরেজি বিভাগের প্রধান মনোজিৎ মন্ডল জানিয়েছেন, আমি যতদূর জানি এখনো পর্যন্ত জন্য সরকারের কোন অনুমতি আসেনি। একজন অস্থায়ী উপাচার্য ইসির মিটিং ডাকতে পারেন না। অস্থায়ী উপাচার্যকে বলব আপনি শুধু রুটিন মাফিক কাজ করুন। যদি তারপরেও ইসির বৈঠক করা হয় আমরা ওখানে থেকে তার প্রতিবাদ করব।এদিকে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডির ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গেল। আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যাবে না পিএইচডি করার জন্য। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল অফ আর্টসের অধীনে পিএইচডি ভর্তি প্রক্রিয়া শুক্রবারই এক নির্দেশিকা জারি করে ভর্তি প্রক্রিয়া স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, পিএইচডি অ্যাডমিশন কমিটি পিএইচডি’তে ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। এক্ষেত্রে একজন অধ্যাপকের অধীনে ৮ জন ডক্টরেট হতে পারেন। কিন্তু যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ। গবেষকদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় সুপার নিউমেরিক পোস্টে তাদের ভর্তি নেওয়া হয়েছে। বুদ্ধদেব সাউ বলেন,পিএইচডি–তে ভর্তির বিষয় নিয়ে আমি আমার কিছু মতামত জানিয়েছিলাম। ইউজিসি’র নিয়ম মেনে হয়নি। এক্সিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। এখন পিএইচডিস স্কলাররা বলছে তারা নাকি অনশনে বসবে।