Last Updated on July 3, 2021 11:19 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। সপ্তদশ বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের প্রথম দিনেই উদ্বোধনী ভাষণে রাজ্যপালের বক্তৃতার বিরোধিতা করার পেছনে ভাজপা বিধায়কদের কি কারণ ছিল তা রাজ্যপালের পড়া বাজেট বক্তৃতা থেকেই স্পষ্ট।বলতো গত কয়েক মাস জাতীয় নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণে যখন রাজ্যের পুলিশ এবং প্রশাসন ছিল সেই সময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে বলে এদিন বক্তব্য রাখেন রাজ্যপাল। তিনি বক্তব্য রাখেন, বহুল চর্চিত ভোট পরবর্তী হিংসার সবকটি ঘটনাই নির্বাচনী কালপর্বে সংঘটিত হয়। যখন রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে ভারতের নির্বাচন কমিশনের নিয়ন্ত্রণ, পরিচালনা ও তত্ত্বাবধানে ছিল। গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচিত নতুন সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর এ ব্যাপারে অবিলম্বে দ্রুততার সঙ্গে ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অতি শীঘ্র স্বাভাবিকতা ফিরে আসে।ফেক ভিডিও ও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। এবিষয়টাও উল্লেখ করে রাজ্যপাল বলেন, ইতিমধ্যে রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট এক বিশেষ শ্রেণির মানুষ তাদের নিজেদের কায়েমি স্বার্থ অক্ষুন্ন রাখতে সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের উদ্দেশ্যে তাদের নিজস্ব সামাজিক মাধ্যম নেটওয়ার্কগুলিতে ভূয়ো খবর, জাল ভিডিও, অর্ধসত্য ঘটনার বিকৃত বয়ান এমনকি সম্পূর্ণ মিথ্যা তথ্য পরিবেশন করে চলেছে। জাল ভিডিও পোস্ট ও খবরের বিরুদ্ধে আমার সরকার কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ৯৩টি এ জাতীয় মামলা নিবন্ধীকৃত হয়েছে ও ৪৭৭টি পোস্ট বন্ধ করা বা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবার সম্প্রতি একাধিক ভাজপা বিধায়ক এবং সংসদ বাংলা ভেঙে পৃথক উত্তরবঙ্গ রাজ্য তৈরীর যে দাবি তুলেছে তা নস্যাৎ করে দিয়ে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের কাজ বলে রাজ্যপাল বলেন, অশুভ শক্তি তাদের নিজেদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে রাজ্যের বিভাজনের কথা বলছে। বস্তুত, এদের অভিসন্ধি হল তাদের নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য রাজ্যে সুনাম নষ্ট করা। নিজেদের স্বার্থে বাংলা বিভাজনের প্রচেষ্টা ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে আমার সরকার তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা কোনও মূল্যেই রাজ্যকে ও রাজ্যের মানুষকে বিভক্ত করতে দেব না। আমাদের লক্ষ্য হল রাজ্য ও রাজ্যের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করা, বিভাজন ঘটানো নয়।