Last Updated on September 28, 2020 1:56 AM by Khabar365Din
‘সুপ্রিম কোর্টের রায় অমান্য করার অধিকার কারও নেই‘

৩৬৫ দিন: কলকাতা হাইকোর্ট নিযুক্ত ৪ সদস্যের হাইপাওয়ার কমিটি যেভাবে বিশ্বভারতীতে গিয়ে পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার যে অনুমতি দিয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক বলে দাবি করে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন বিশিষ্ট আইনজীবী অরুনাংশু চক্রবর্তী। চলতি মাসের ১৫ তারিখ কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থের মামলা দায়ের করার জন্য মাহফুজা খাতুনের যে আবেদন জমা পড়েছিল, জরুরী ভিত্তিতে এবং সাংবিধানিক নির্দেশ রক্ষার স্বার্থে তার শুনানির আবেদন জানালেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে। একই সঙ্গে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আদর্শকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য দেশের সর্বোচ্চ আদালত রাজ্য সরকারকে যেভাবে সর্বদা সচেতন থেকে বিশ্বভারতীর পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল, সেই রায়ের রেফারেন্স টেনে অরুণাংশু বাবু এদিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছেও।
চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন সুশান্ত ঠাকুর বনাম কেন্দ্রীয় সরকারের ঐতিহাসিক মামলায় সুপ্রিম কোর্ট ১৯৫১ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছিল বিশ্বভারতীতে মুক্ত পরিবেশে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরীর যে স্বপ্ন গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ দেখেছিলেন, সেই পরিবেশ যেন কোনো অবস্থাতেই নষ্ট না হয় তার দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই প্রসঙ্গে অরুণাংশু চক্রবর্তী বলেন, মেলার মাঠ ঘেরার আইনগত কোনও ক্ষমতাই নেই উপাচার্য বা বিশ্বভারতীর। বিশ্বভারতী এবং মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার এই সিদ্ধান্ত ১৯৫১ সালের শুধু বিশ্বভারতী আইনের পরিপন্থীই নয়, সুপ্রিম কোর্টের আদেশের অবমাননা এবং সংবিধানের ২১ নম্বর অনুচ্ছেদ ও ৫১-এ (জি)-ধারারও পরিপন্থী। তিনি ভারত স্বাধীন হওয়ার পর থেকেই এখনো পর্যন্ত বিশ্বভারতীর রক্ষণাবেক্ষণ এবং তার দায়িত্ব নিয়ে স্পষ্ট ভাষায় আইনের ব্যাখ্যায় জানান, অনেকেরই একটা ভুল ধারণা আছে যে, ৩০০০ হেক্টর জমির মালিক বুঝি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। তারা রাজ্য সরকারকে উপেক্ষা করেই যখন যেমন ইচ্ছে নির্মাণকার্য চালাতে পারে। কিন্তু, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ বলছে, বিশ্বভারতীর অধীনস্থ জমির মধ্যে কোনও বেআইনি নির্মাণকাজ বন্ধ করার অধিকার রাজ্য সরকারের।