Last Updated on August 21, 2022 5:33 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। দুদিনের দুর্যোগের পর আবার সাময়িক বিরতিতে বঙ্গবাসী। কিছুটা বাড়বে অস্বস্তি। দীঘা ঘেঁষে পেরিয়েছে নিম্নচাপ। আর, তার জেরেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় চলে ভারী বৃষ্টি। ভাদ্রের শুরুতে এই প্রকার বৃষ্টিতে স্বস্তিতে শহর, জেলার মানুষ। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রবিবার, আজ থেকে আবহাওয়ার পরিবর্তন। ধীরে ধীরে বাড়বে তাপমাত্রা। তবে, বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি চলবেই।
কলকাতা সহ বিভিন্ন জেলায় আগামী ৫ দিনে বজ্রবিদ্যুত সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। শনিবার এক বুলেটিন প্রকাশ করে দফতর জানায়, গভীর নিম্নচাপ দক্ষিণ ঝাড়খণ্ড এবং সন্নিহিত উত্তর ওড়িশা পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর এগিয়ে দক্ষিণ পূর্ব ঝাড়খণ্ড এবং সন্নিহিত উত্তর পশ্চিম ওড়িশা এবং উত্তর ছত্রিশগড় কাছে রাঁচি থেকে ৭০ কিমি দূরে অবস্থান করছে। আরও, পশ্চিম উত্তর পশ্চিম দিক বরাবর এগিয়ে ঝাড়খণ্ড পেরিয়ে উত্তর ছত্রিশগড় হয়ে উত্তর মধ্যপ্রদেশ দিকে এগিয়ে যাবে।
এবং আগামী ২৪ ঘন্টায় শক্তি হারাবে ক্রমশ। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ২০ তারিখ পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলায়। পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম জেলায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া। ২০ তারিখ থেকে মৎস্যজীবীদের জন্যে সতর্কতা ছিল। রবিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতির সম্ভাবনা। অন্যদিকে, ভারী বৃষ্টিতে ধান এবং পাট চাষের সুবিধা হলেও নিচু এলাকায় জলমগ্ন এবং যানজট তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় দফতর।
কাঁচা রাস্তা, বাড়ি ইত্যাদির ক্ষতি হতে পারে। একই সঙ্গে কলা গাছ এবং উপকূলের ধারের চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকে গিয়ে ক্ষতি হতে পারে সবজি চাষে। দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে কিছু কিছু এলাকা প্লাবিত হতে পারে। সতর্কতা জারি করে আবহাওয়া দফতর জানায়, বজ্রপাতের সময় পাকা বাড়িতে আশ্রয় নেওয়া প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এর আগে প্রায় পর পর দুটি নিম্নচাপের ফলে বৃষ্টি প্রাপ্তি হয় দক্ষিণবঙ্গের। যদিও, সেই দুটি নিম্নচাপ তেমন জোরালো ছিল না। তবে, উপকূল ঘেঁসা হওয়ায় বৃষ্টি হয়েছে বঙ্গে। শুরুর দিকে মৌসুমী অক্ষরেখা উত্তরবঙ্গের উপর স্থায়ী হওয়ায় টানা বৃষ্টি চলে উত্তরবঙ্গ। স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই বেশি বৃষ্টি হয় পাহাড়ে। তারপর, অবশ্য বেশ কিছুদিনের বৃষ্টিহীনতায় ভোগে পাহাড়ি জেলা।