ভবানীপুর গুরুদোয়ারায় মমতা
শিখদের সঙ্গে আত্মীয়তার সম্পর্ক

0

Last Updated on September 15, 2021 11:28 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। ভবানীপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হলেও বাংলার পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে গোটা দেশের করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন কোভিড বিধি মেনে চলতে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই নির্দেশ মেনে এবারে স্বাভাবিকভাবেই কোন বড় সভা অথবা রোড শো আয়োজন না করে ছোট ছোট জনসংযোগ কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন মমতা। গুরুদ্বার কমিটির তরফে মমতাকে ফুল ও উত্তরীয় দিয়ে স্বাগত জানানো হয়।
গুরুদ্বারে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের জমায়েতে মমতা বলেন, শুভকামনা জানাতে এসেছি। পেতেও এসেছি। আগেও অনেকবার এখানে এসেছি। গুরু নানকজির অনুষ্ঠানেও গিয়েছি। পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার সম্পর্কে বহু দিনের। সেই স্বাধীনতার সময় থেকে পঞ্জাবের সঙ্গে বাংলার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। কবিগুরু যখন জাতীয় সঙ্গীত লিখেছিলেন তা শুরুই করেছিলেন পঞ্জাব দিয়ে। পাঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মারাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ। পাঞ্জাব থেকে শুরু করে বাংলায় শেষ করেছিলেন। আন্দামানে গিয়ে দেখেছি, যত মানুষ দেশের জন্য স্বাধীনতা আন্দোলনে বলিদান দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে পঞ্জাব ও বাংলার মানুষের সংখ্যা সবথেকে বেশি।

আমি নিজেও প্রায় কুড়ি বছর আগে পঞ্জাবের বিভিন্ন জেলা সফর করেছি। ওখানকার মানুষদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছি। তবে গত বেশ কয়েক মাস ধরে দেশজুড়ে যেভাবে কেন্দ্রের ভাজপা সরকারের পাস করানো কৃষক বিরোধী আইনের বিরুদ্ধে দেশের লক্ষ লক্ষ কৃষক আন্দোলনে সামিল হয়েছেন, মমতার বক্তব্যের মধ্যে উঠে এল সেই কৃষক আন্দোলনের প্রসঙ্গ। মমতা বলেন, দিল্লিতে কৃষক আন্দোলনের সমর্থেন মোবাইলে আমি ভাষণ দিয়েছি। কৃষক নেতাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আগেও আমার সমর্থন ছিল। এখনও আছে। আমি একটি টিমও পাঠিয়েছিলাম। আপনাদের যে সাহায্য লাগবে তা করব। আপনারা শুধু বলুন। এখানে এলে মন শান্ত হয়ে যায়। এখানকার হালুয়া খুব পছন্দ।
এর পাশাপাশি পাঞ্জাবের শিখ সম্প্রদায়ের সঙ্গে তার নিজের পারিবারিক আত্মীয়তার সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মমতা বলেন, অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা প্রত্যেক দিন ভোর চারটের সময় এখানে আসে। কালীঘাট মন্দিরে যায়। বাচ্চা দু’টোকে গুরুগ্রন্থ সাহেব পড়ে শোনায়। তাই আপনাদের সঙ্গে আমার সম্পর্ক আত্মীয়তার সম্পর্ক।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here