Last Updated on September 28, 2020 11:40 AM by Khabar365Din
আজ থেকে ৩৩ বছর আগে এই সেপ্টেম্বর মাসেই রাজস্থানের দেওরালা গ্রামে স্বামীর চিতায় জ্বলন্ত সহমরণে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ১৯ বছরের রূপ কানোয়ার। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সেই লজ্জার দিনের যখন সতীমাতার উদযাপন হচ্ছে রাজস্থানে কাকতালীয় ভাবে বাংলায় তখন রাজা রামমোহনের ১৩৩ তম প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কি বৈপরীত্য, কি বৈপ্লবিক।
আজ থেকে ৩৩ বছর আগে এই সেপ্টেম্বর মাসেই রাজস্থানের দেওরালা গ্রামে স্বামীর চিতায় জ্বলন্ত সহমরণে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন ১৯ বছরের রূপ কানোয়ার। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসের সেই লজ্জার দিনের যখন সতীমাতার উদযাপন হচ্ছে রাজস্থানে কাকতালীয় ভাবে বাংলায় তখন রাজা রামমোহনের ১৩৩ তম প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কি বৈপরীত্য, কি বৈপ্লবিক। নবজাগরণের পথিকৃৎ রামমোহনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে আসলে দেশের নারিজাতিকেই সন্মান জানালেন মমতা। ১৮২৯ সালের জুলাই মাসে লন্ডনের হাউস অফ লর্ডস এ একা ৪০ জন দাপুটে ব্রিটিশ বিচারকের সঙ্গে সাড়ে আট ঘণ্টা ধরে যুক্তি তর্ক করে রাজা রামমোহন ছিনিয়ে আনলেন সতীদাহ রদের আইনি অধিকার। লর্ড বেন্টিং পরে তাতে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু আসল লড়াইটা রামমোহন কেই লড়তে হয়েছিল। ম্যাক্সমুলার রাজা রামমোহন সম্পর্কে বলেছিলেন, সমাজ সচেতক এবং সংস্কারক হিসাবে সারা পৃথিবীর মধ্যে তিনি অদ্বিতীয়। তিনি ইউরোপে জন্মালে আমাদের শুধু গসেপেল পড়ে ছেলেবেলা কাটাতে হত না। বাংলা তথা ভারতের নব জাগরণের পথিকৃৎ সেই রাজা রামমোহনের ১৩৩ তম প্রয়ান দিবসে শ্রদ্ধা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ধ বিশ্বাস আর ধর্মীয় কূপমণ্ডূকতা সরিয়ে রামমোহনের দেখানো আধুনিক মননের যে সবচেয়ে বেশি প্রয়জন আজ। দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতির, একাত্মবোধের মূলে যে কুঠারাঘাত নেমে আসছে, তার সামনে প্রাচীরের মত দাঁড়িয়ে রাজা রামমোহন। তিনি শুধু বাংলার নয়, সারা ভারতের। আজ যারা ঠুনকো ধর্মীয় সংকীর্ণতার আবেশে সতীদাহ রদের জন্য রামমোহনের দিকে কটূক্তি করতে দ্বিধা করে না, তাদের সহবত শেখানোর জন্যই রামমোহনের দেখানো পথেই হাটতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার এই মহা মনিষীকে শ্রদ্ধা জানিয়ে, দেশকে সেই বার্তাই দিলেন।