Last Updated on May 14, 2022 11:21 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।আগরতলা। নির্বাচনে বিপদের আশঙ্কা দেখলেই নিজেদের স্বভাবসিদ্ধ ভূমিকাযা প্রশাসনিক মাথার রদবদল ঘটিয়ে মানুষের মনকে বিভ্রান্ত করে দেওয়ার স্টান্টবাজির অঙ্গ হিসেবেই বিপ্লবের পদত্যাগ করতে হলো শনিবার। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ভাজপার রাজ্য সভাপতি ও রাজ্য সভার সদস্য মানিক সাহা (Manik Saha)। সম্প্রতি মানিককে রাজ্য সভাতে পাঠিয়েছে ভাজপা (BJP)। শোনা যাচ্ছে রোল বদলে বিপ্লবকে রাজ্য সভাপতি করা হতে পারে। এদিন দুপুরে হটাৎই রাজ্যপাল সত্যেন্দ্র নারায়ণ আর্যর কাছে হাজির হন বিপ্লব । কোনো কারণ না দেখিয়েই এক লাইনের চিঠি লিখে বিপ্লব জানান শনিবার থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন। এরপরে বাইরে বেরিয়ে তিনি তার এই সিদ্ধান্ত জানান সাংবাদিকদের। তিনি বলেন দলের নির্দেশে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন।এরপর তিনি সংগঠনের কাজে আরও বেশি সময় দেবেন বলেও এদিন জানান তিনি । তবে উল্লেখযোগ্য ভাবে তিনিবলেন বিপ্লব দেব (Biplab Deb)সব জায়গাতেই কাজ করতে পারবো।
তবে রাজ্যে যে ভাজপার মাটি আলগা হচ্ছে তা কিন্তু এদিন পরিষ্কার করে দিয়েছে বিপ্লব। খুব উল্লেখযোগ্য ভাবে বলেছেন যে রাজ্যে সরকার থাকবে যদি পার্টি সবল থাকে। আর তাই তাকে পার্টির কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য জন্য তাকে দিল্লির কেন্দ্রিত নেতৃত্ত্ব নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে এতদিন পার্টির সভাপতি ছিলেন সদ্য মুখ্যমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়া মানিক সাহা। ফলে ঘুরিয়ে বিপ্লব রাজ্যে পার্টি দুর্বল ও তিনি নিজে নন দিল্লির নির্দেশেই পদত্যাগ করছেন এটা বুঝিয়ে দিয়েছেন । মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় দশ মাস আগে ত্রিপুরা (Tripura) রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করলেন বিপ্লব কুমার দেব। তবে এর আগেই গত বৃহস্পতিবার তিনি ভারতের জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে যান এবং সেখানে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ডা: জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন এরপর গতকাল শুক্রবার তিনি ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর সঙ্গে দেখা করেন। সবশেষে শুক্রবারই তিনি রাজ্যে ফিরে আসেন এবং শনিবারই দুপুরবেলা রাজভবনে গিয়ে তাঁর পদত্যাগপত্র জমা করেন।
বিপ্লব যখন পদত্যাগ করতে যান তখন তাঁর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ভুপেন্দর যাদব, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক বিনোদ তাউড়ে, পর্যবেক্ষক বিনোদ সোনকর,অজয় জাম্বুয়াল, ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির সভাপতির ডা মানিক সাহা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক প্রমুখ। এদিন তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর রাজভবন থেকে বেরিয়ে আসার সময় তার গলা ধরে আসে। তিনি বলেন দল সর্বোপরি, দলের সিদ্ধান্ত মাথা পেতে নিয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন। পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাকে অভিনন্দন জানান নতুন মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য। তবে রাজ্যের ভাজপা ও আইপিএফটি বিধায়কদের সঙ্গে কথা না বলে মানিক সাহাকে মুখ্যমন্ত্রী করাতে প্রকাশ্যেই চিৎকার করতে থাকেন কারামন্ত্রী রামপ্রসাদ পাল। তাকে সামলাতে এগিয়ে যান সুশান্ত চৌধুরী সহ বেশ কয়েকজন দলীয় বিধায়ক ও মন্ত্রী। একসময় বিক্ষোভরত রাম প্রসাদকে জড়িয়ে পিছনের দরজা দিয়ে বাইরে নিয়ে যান।