Last Updated on November 29, 2020 6:40 PM by Khabar365Din
এখনো অভিষেক ব্যানার্জীর প্রশংসা, মোদির অর্থনীতিতে কৃষি ধ্বংসের অভিযোগ
৩৬৫ দিন: বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামানিক এবং অর্জুন সিং এর হাত ধরে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেও দীর্ঘদিন ধরে মোদি সরকারের আমলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়া নিয়ে অথবা দলিত নিধন নিয়ে নিজের মতামত মুছে ফেলার সময় পাননি মিহির গোস্বামী। রাতারাতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে ভক্ত হনুমান হতে গিয়ে মেহের গোস্বামী বুঝে উঠতে পারেননি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুধু আত্মপ্রচারের জায়গাই নয়, সঠিক জ্ঞান না থাকলে বুমেরাং হয়েও যেতে পারে। এতদিন পর্যন্ত যে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহকে নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় গালাগালি করেকরার চেষ্টা করে চলেছিলেন মিহির গোস্বামী, রাতারাতি তৃণমূলের জার্সি পাল্টে গেরুয়া পতাকা গায়ে জড়িয়ে নেওয়ার পরেও তার বোধোদয় হয় নি মোদী ভক্ত হনুমান হতে গেলে নরেন্দ্র মোদী অথবা কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের জন্য ধ্বংসাত্বক বলে তার সোশ্যাল মিডিয়া প্রচার জনগণের কাছে হাসির খোরাক হয়ে উঠতে পারে। মিহির ঘোষ স্বামীর এই কান্ড দেখে ইতিমধ্যেই রাজ্য বিজেপির সোশ্যাল মিডিয়ার সেলের পক্ষ থেকে তাকে একদফা হুঁশিয়ারিও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আবার হয়তো এমনও হতে পারে বিজেপিতে বেশিদিন টিকতে না পেরে আবার তৃণমূলে ফেরার জন্য রাস্তা খোলা রাখতে মোদির বিরুদ্ধে গালাগাল মুছে না ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
শুক্রবারে দিল্লি গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক। এখনো অবশ্য তাঁর নিজস্ব টুইটার অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার কিভাবে দলিত হত্যা, কৃষক বিরোধী বিল পাস করা অথবা দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করার চেষ্টা করছে তা নিয়ে বহু পোস্ট জ্বলজ্বল করছে।
গত ২১ সেপ্টেম্বর যেমন সংসদের যৌথ অধিবেশনে দেশের সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দল এবং দেশের কৃষকদের যাবতীয় আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে কেন্দ্রীয় সরকার জোড়া কৃষি বিল পাস করানোর পরে মিহির গোস্বামী পোস্ট করেন, আলোচনা ছাড়াই রাজ্যসভায় বিজেপি সরকার কৃষি বিল পাশ করিয়েছে,যে বিল কৃষিজীবী মানুষদের জন্য ক্ষতিকর।। গণতন্ত্রকে শেষ করে দিতে চায় এই স্বৈরাচারী সরকার ।। কিন্তু আমরা এর বিরুদ্ধে শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়বো।।#BJPKILLEDDEMOCRACY।
একই দিনে তার অপর একটি পোস্ট, #BJPKilledDemocracy দেশের অর্থ ব্যবস্থার এক স্তম্ভ আজ ধংসের মুখে। কৃষক বিরোধী এই বিল কৃষকদের আর্থিকভাবে আরও ধংসের মুখে ঠেলে দিল।
স্বাভাবিকভাবেই তার এই রাজনৈতিক দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন রাজ্য বিজেপির নেতৃত্ব।