Last Updated on February 17, 2023 6:38 PM by Khabar365Din
পড়ুয়াদের অভিযোগ মুক্তচিন্তাকে বাংলাদেশ সরকার সেন্সর করছে

৩৬৫ দিন। বাংলাদেশের সরকার তথা শাসকদলের সমালোচনায় লেখা বই প্রকাশের বাধা, মুক্ত চিন্তাকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সাহায্যে দমন করে চুপ করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে সাহিত্য সংস্কৃতির উপরে সরকারি সেন্সরশিপ চাপিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এবারে অভূতপূর্ব প্রতিবাদের ছবি দেখা গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখানেও নিরব প্রতিবাদের মুহূর্ত প্রতীক হিসেবে বেছে নেওয়া হলো মুক্তচিন্তার প্রতীক রবীন্দ্রনাথকেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির বইমেলার প্রবেশপথে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি প্রতিবাদী ভাস্কর্য স্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ। রবীন্দ্রনাথের মূর্তি বা ভাস্কর্য স্থাপনে নতুনত্ব কিছু না থাকলেও নতুনত্ব রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশপথে স্থাপন করার এই স্ট্যাচুটিতে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাস্কর্যটিতে তাঁর মুখ টেপ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং হাতে ছিল রক্তাক্ত এবং পেরেকবিদ্ধ গীতাঞ্জলি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে স্থাপন করা হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের এই ভাস্কর্য। মঙ্গলবার তা স্থাপন করা হয়। কিন্তু চুরি করা হয়েছে রবি ঠাকুরের সেই ভাস্কর্য। ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। রবীন্দ্রনাথের প্রতিবাদী ভাস্কর্যটি দেখতে না পেয়ে, গুম হয়ে গেছেন রবীন্দ্রনাথ লেখা একটি কাপড় সেই স্থানে টাঙিয়ে দিয়েছেন পড়ুয়ারা।
কেন এই প্রতিবাদ?
এই ভাস্কর্য নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ও ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের একাংশের সভাপতি শিমুল কুম্ভকার বলেন, আমরা এমন কিছু তৈরি করতে চেয়েছিলাম যা মানুষকে কথা বলতে এবং আমাদের দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে মানুষকে ভাবতে বাধ্য করবে। বাংলা একাডেমি আদর্শ প্রকাশনীর স্টল বই মেলাতে নিষিদ্ধ করেছে। শুধু তাই নয়, অনেক বই নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে মুক্ত চিন্তা এবং স্বাধীন মত প্রকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানাতে এ ভাস্কর্য নির্মাণ করেছি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মুক্ত চিন্তা ও সৃজনশীলতার প্রতীক এবং এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে এই মূল্যবোধগুলো আমাদের সমাজের জন্য অপরিহার্য।