Last Updated on October 20, 2020 7:55 PM by Khabar365Din
দর্শকশূন্য মন্ডপের সিদ্ধান্তে আপত্তি
৩৬৫ দিন: দর্শকশূন্য পুজো নয়, যাবতীয় করোনা বিধি মেনে দর্শকের উপস্থিতিতে পুজো করার আবেদন জানিয়ে আবার হাইকোর্টে গেল ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটি। গতকাল বিচারপতি অরিজিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ যেভাবে নজিরবিহীন রায় দিয়ে জানিয়েছে রাজ্যের সমস্ত দুর্গা পুজোতে এবারে দর্শকদের প্রবেশ নিষেধ, সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সকালেই কলকাতা হাইকোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করল রাজ্যের অধিকাংশ দুর্গা পুজো কমিটির সম্মিলিত সংগঠন ফোরাম ফর দুর্গোৎসব। আগামীকাল অর্থাৎ মহাপঞ্চমীর দিন রিভিউ পিটিশনের শুনানি হওয়ার কথা। ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির পক্ষে আদালতের সকল করবেন তৃণমূল সাংসদ বিশিষ্ট আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
ফোরাম ফর দুর্গোৎসব কমিটির তারকে রিভিউ পিটিশন কলকাতা হাইকোর্টে অনুমোদিত হওয়ার পরেই মামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সমস্ত পক্ষকেই আগামীকাল শুনানির জন্য নোটিশ পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকারও। বুধবার এই আবেদনের শুনানি হবে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন রিভিউ পিটিশনের মূলত যে বিষয়গুলির আপত্তি তোলা হয়েছে তা হল,
১। প্রতিটি পূজাকে ঘিরে এই এলাকার বেশ কয়েকশো পরিবারের বহু আবেগ জড়িয়ে থাকে। অষ্টমী পূজোর অঞ্জলি সম্পূর্ণ অনলাইনে করার নির্দেশ দেওয়া হলেও সকলের পক্ষে অনলাইন অঞ্জলিতে অংশ নেওয়া সম্ভব নয়।
২। করোনা সচেতনতায় কথা বিবেচনা করেই এ বছর অনেক বেশি টাকা খরচ করে স্যানিটাইজেশন এবং সামাজিক দূরত্ব বৃদ্ধির জন্য মন্ডপ তৈরিতে বেশি টাকা খরচ করা হয়েছে। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে হাই কোর্ট এই রায় দেওয়াতে বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে রাজ্যের প্রতিটি পুজো উদ্যোক্তা।
৩। কলকাতা শহর রাজ্যের বহু এলাকাতেই মণ্ডপের সামনে 10 ফুট অতিরিক্ত জায়গা নেই যা ছেড়ে রেখে নো এন্ট্রি’ বোর্ড লাগানো হবে।
৪। আবার ছোট পূজা গুলোর ক্ষেত্রে মন্ডপের ভেতরের নির্দিষ্টভাবে 15 জন এবং বড় পুজো গুলোর ক্ষেত্রে মন্ডপের ভেতরে 25 জন ঢুকতে অনুমোদন দেওয়া হলেও বহু ক্ষেত্রেই দুর্গাপুজোর পুরোহিতের সংখ্যা 5 থেকে 7 জন থাকে। তেমন ক্ষেত্রে পুরোহিতদের সংখ্যা বাদ দেওয়া হবে কিনা তা নিয়েও অস্পষ্ট নির্দেশিকা চাওয়া হয়েছে ফোরামের তরফে।