Last Updated on August 1, 2022 6:13 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। করোনা সারলেও দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে স্বাদ গন্ধের সমস্যা। যা বিব্রত করছে দৈনন্দিন জীবনকে। যেটিকে আবার বিজ্ঞানীরা লং কভিডের সঙ্গে জুড়ে নিচ্ছেন। এক সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ৫ শতাংশের মধ্যে স্থায়ী হচ্ছে এই স্বাদ এবং গন্ধের সমস্যা। ৩ হাজার ৬০০ রোগীর উপর ১৮ টি গবেষণা করা হয়। তার উপরেই নির্ভর করে এই তথ্য দিয়েছেন গবেষকরা। এর মধ্যে কিছু কিছু মানুষ তিন মাসের মধ্যেই পুনরায় স্বাদ গন্ধ ফিরে পেয়েছেন।
কিন্তু, দীর্ঘমেয়াদি এই সমস্যাকে গবেষক থেকে চিকিৎসক সকলেই গুরুতর সমস্যা হিসেবে ধরে নিচ্ছেন। বিভিন্ন সময়ে চরিত্র বদলেছে করোনা। আর, সেই অনুযায়ীই বদলেছে রোগের উপসর্গ।বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসক গোষ্ঠী। রোগ নির্ণয় থেকে চিকিৎসা, সবেতেই বেড়েছে জটিলতা। তাঁদের বক্তব্য, প্রথম, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় স্বাদ এবং গন্ধ সম্পূর্ণ চলে যাচ্ছিল। কিন্তু, তৃতীয় ঢেউয়ের আগে বা এই সময়টায় আংশিকভাবে হচ্ছে এই সমস্যা।
এক সপ্তাহ পরেই আবার স্বাভাবিক হয়ে যাচ্ছে স্বাদ এবং গন্ধ। এছাড়া, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় শুকনো কাশি, সেই সঙ্গে জ্বর। কিন্তু, এখন হলে কাশি এবং হালকা জ্বর থাকছে। আগে দারুন দুর্বলতা থাকছিল, তৃতীয় ঢেউয়ের সময় মৃদু উপসর্গ। আগে শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছে ১০-১৫ শতাংশ মানুষ। এখন ১ শতাংশের কম রোগীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রেও একই রকম ছবি। কারণ ব্যাখ্যা করে এক মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বলেন, ইতিমধ্যেই একটা বড় অংশের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে।
ফলে, করোনার ভয়াবহতা সেভাবে টের পাচ্ছেন না কেউই। এছাড়া, অনেক সময় ধরা পড়ছে না অনেক কেস। কারণ, চিকিৎসকের পরামর্শ এড়িয়ে গিয়ে পরীক্ষা করাচ্ছেন না অনেকেই। এক চিকিৎসক জানান, এখন বেশিরভাগেরই বাড়িতেই সারছে করোনা। খুব কম ক্ষেত্রেই দরকার পড়ছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার। আরও এক চিকিৎসক জানান, এখন উপসর্গের মধ্যে অনেকটাই পরিবর্তন এসেছে। যদিও, এই নিয়ে এখনই বড় কোন সমস্যা তৈরি হচ্ছে না বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসক মহল।