Last Updated on November 16, 2021 8:30 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন।
অপেক্ষা শেষ পড়ুয়াদের। আজ থেকে আবার সেই চেনা বেঞ্চ, চেনা ক্লাসরুমে প্রবেশ। অবশেষে খুলল রাজ্যের সমস্ত স্কুল। আবার শোনা যাবে টিচারের চিৎকার। চক, ডাস্টারের শব্দ। প্রায় দু’বছর ধরে বন্ধ স্কুল। এতদিন অনলাইনেই চলছিল পড়াশোনা। এবার সশরীরে ক্লাস করতে পারবে পড়ুয়ারা। কিন্তু স্কুল খোলার জন্য যে ধরনের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি কতটা কার্যকর তা আজ স্কুল চলার পরই বোঝা যাবে। সকলের মুখেই মাস্ক, হাতে স্যানিটাইজার। গাইডলাইনে বলাই ছিল প্রত্যেক ছাত্রছাত্রীকে মাস্ক পরে স্কুলে ঢুকতে হবে। স্কুলে আইসোলেশন রুম রাখতে হবে। কেউ অসুস্থ হলেই তাকে সেখানে পাঠিয়ে দিতে হবে। জ্বর নিয়ে কোনও অভিভাবক যেন পড়ুয়াকে স্কুলে না পাঠান, সেদিকে দেখতে হবে। সমস্ত স্কুল খোলার আগেই ভালোভাবে স্যানিটাইজেশনের কাজ হয়েছে।
ছাত্র ছাত্রী দের মধ্যে ছিল বাড়তি উৎসাহ , উদ্দীপনা। বিদ্যালায়ের মূল ফটকের সামনে তাপমাত্রা মাপার পর ভেতরে ঢোকার আগে দেওয়া হয় স্যানিটাইজার। এরপর কোনো স্কুলে দেওয়া হয় ফুল । কোনো স্কুলে দেওয়া হয় চকোলেট। তাদের সুস্থতা কামনা করেন শিক্ষক শিক্ষিকারা । বিদ্যালয় চালু হওয়ায় ছাত্র ছাত্রীদের পাশাপাশি খুশি শিক্ষক ও শিক্ষিকারা । করোনা পরিস্থিতির জন্য দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ ছিল।তাই স্কুল চালু হওয়ায় অভিভাবকেরা ও খুব খুশি। প্রতি ক্লাসে ২৮ জন করে বসার অনুমতি ছিল। মাস্ক পরে ক্লাস নেন শিক্ষক শিক্ষিকরা । পড়ুয়াদের মুখেও ছিল মাস্ক ।

শহরের অন্যতম প্রথম সারির স্কুল জ্যোতির্ময় পাবলিক স্কুল এর কর্ণধার পার্থ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, “দীর্ঘদিন পরে স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি অভিভাবকরাও ভীষণ খুশি। আমরা সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করেছি। এমন কে নবম শ্রেণীর নিচের ক্লাসগুলো বন্ধ থাকায় প্রত্যেকটি ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের আমরা দুটি বা তিনটি ভাগে ভাগ করে দূরত্ব বজায় রেখে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে বসানোর ব্যবস্থা করেছি। স্কুল বাস থেকে নামার পর এই প্রত্যেকের হাতে স্যানিটাইজার দেওয়ার পাশাপাশি স্কুলে ঢোকার সময় প্রত্যেকের টেম্পারেচার পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর এর পক্ষ থেকে যে সমস্ত গাইড লাইন দেওয়া হয়েছিল প্রত্যেকটি অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয়েছে।”
জেআইএস গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর, তরণজিৎ সিং আজ স্কুল এবং কলেজ প্রতিষ্ঠানগুলি পুনরায় খোলার ব্যাপারে উল্লেখ করেছেন যে, “জেআইএস গ্রুপের প্রতিটি কলেজে কোভিডের বিরুদ্ধে সমস্তরকম প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। নিজের পরিচয়পত্র ছাড়া কলেজগুলিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবেনা ছাত্র-ছাত্রীদের, ল্যাব ক্লাসের পাশাপাশি নিয়মিত ক্লাসের জন্যও ছোট গ্রুপ করে ছাত্র-ছাত্রীদের ভাগ করে দেওয়া হয়েছে এবং প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য এখনও কিছু সময় তাদের অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি কলেজে একটি ‘কোভিড সেল’ গঠন করা হয়েছে যার মারফত যেকোন রকমের প্রয়োজন হলে তারা তৎক্ষণাৎ যোগাযোগ করতে পারে। শিক্ষার্থীদের প্রত্যকে টিকার দুটি ডোজ পেয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য শিক্ষার্থীদের দ্বারা একটি অনলাইন ফর্ম পূরণ করানো হয়েছিল কলেজ খোলার আগেই আমাদের সমস্ত প্রতিঠানে। নিরাপত্তা কর্মীদেরও থার্মাল বন্দুক দিয়ে প্রত্যেকের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং সর্বপরি প্রতিটি কলেজে পর্যাপ্ত পরিমাণ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, শৌচালয়ে পর্যাপ্ত সাবান মজুত করা হয়েছে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এই লড়াইতে।”