Last Updated on October 7, 2020 4:14 PM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। সপ্তাহ খানেক ধরেই সে আসছিল! আজমল মারি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে নদী পেরিয়ে বৈকন্ঠপুর- মোটামুটি এই পথেই সে ঢুকছিল লোকালয় আবার এই পথেই ফিরে যাচ্ছিল জঙ্গলে। অবশেষে মঙ্গলবার রাতে খাঁচা পেতে ধরা হলো বারবার লোকালয়ে ঢুকে পড়া সুন্দরবনের রয়্যালবেঙ্গল কে। সুন্দরবনের আজমল মারি 12 নম্বর জঙ্গলে তিনটি খাঁচা পেতে ধরা হলো সুন্দরবনের দক্ষিণরায়কে। তিনটি ছাগল টোপ হিসেবে দেওয়া হয়। বাঘ ধরা পড়ায় স্বস্তিতে মৈপিঠের 6 নম্বর বৈকন্ঠপুর এলাকার মানুষ। বনদপ্তর সূত্রে খবর, এটি পূর্ণবয়স্ক বাঘ। রাতেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ঝড়খালির ব্যাঘ্র পুনর্বাসন প্রকল্প, সেখান থেকে চিকিৎসা করে সুস্থ থাকলে ছাড়া হতে পারে চুলাকাঠি জঙ্গলে। এদিকে, মঙ্গলবার দুপুরে বনদপ্তর আধিকারিকরা, কর্মীরা বাজি পটকা পাঠিয়ে নদী থেকে বাঘকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। যদিও গ্রামবাসীদের দাবি ছিল, আরো একটি বাঘ জঙ্গল থেকে আসছিল সেই বাঘকেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামে হানা দেওয়া বাঘকে ধরা হয়নি। সেই বাঘই রাতে ধরা পড়ে।যদিও বনদপ্তরের আধিকারিক বলেন, বাঘ আবার জঙ্গল থেকে বেরোনোর পথেই পাতা জালে খাঁচা বন্দি হয়ে যায়। মঙ্গলবার বিকেলে বাঘের সঠিক অবস্থান জানতে বনদপ্তর এর কর্তারা নদী ও জঙ্গলে ড্রোন উড়িয়ে তল্লাশি চালায়। এমনকি বাঘের পায়ের ছাপ পরীক্ষা করা হয়।এই নিয়ে গ্রামবাসীরা জানিয়েছিল, জঙ্গল থেকে আসার পায়ের ছাপ মিললেও গ্রাম থেকে খারি পথ ধরে বেরিয়ে যাবার পায়ের ছাপ মেলেনি। এর জেরেই সন্ধ্যার পর থেকেই ঠাকুরান নদী সংলগ্ন আজমলমারি 12 নম্বর জঙ্গলে খাচাঁ পাতার উদ্যোগ নেয় বনদপ্তর এর কর্মীরা। তারপর রাতেই সেই খাঁচাতে বন্দী হয়ে যায় সুন্দর বনের রাজা। বন দপ্তর সূত্রে খবর আজমল মারি জঙ্গল থেকে নদী পেরিয়ে মৈপীঠ -বৈকুন্ঠপুরে সুন্দরবনের বাঘের ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। এর আগেও একাধিকবার এমন ঘটনা ঘটেছে। তৎপরতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে বনদপ্তর। এ ক্ষেত্রেও দ্রুত বাঘকে খাঁচা বন্দি করা গিয়েছে। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে দুটি বাঘ আজমল মারির জঙ্গল থেকে লোকালয়ে ঢুকছিল। তার মধ্যে একটি বাঘকে আগেই জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া গিয়েছিল। অন্য একটি বাঘ মঙ্গলবার রাতে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে ঢোকার চেষ্টা করলে সেটিকে ছাগলের টোপ দিয়ে খাঁচা বন্দি করা হয়। আগামী দিনেও ওই অঞ্চলে বনদপ্তর নজরদারি চালাবে বলে জানা গিয়েছে।