Last Updated on July 11, 2022 5:31 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। শিবসেনা কার? শিবসেনার প্রতিষ্ঠাতা বালাসাহেব ঠাকরের পরিবার তথা রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত মহারাষ্ট্রের সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের? নাকি উদ্ধব ঠাকরের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ভাজপার সঙ্গে হাত মিলিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করে তার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসা একনাথ শিণ্ডের? ঐতিহাসিক এই প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি।
সুপ্রিম কোর্টে খারিজ স্পিকারের অতিসক্রিয়তা
মহারাষ্ট্রের পদ্মপালকে ম্যানেজ করে দলহীন বিধায়ক একনাথ শিন্ডেকে ভাজপা মুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানোর পরেই উদ্যোগ নিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের অনুগামী শিবসেনা বিধায়কদের বিধায়ক পদ খারিজ করার পাশাপাশি শিবসেনার মালিকানা তথা উত্তরাধিকার একনাথ শিণ্ডের হাতে তুলে দেওয়ার। তার বিরুদ্ধেই দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শিব সেনা প্রতিষ্ঠাতা ও বালাসাহেব ঠাকরের পারিবারিক এবং রাজনৈতিক উত্তরাধিকারী উদ্ধব ঠাকরে। আজ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সেই মামলায় স্পষ্টভাবে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপালের পক্ষে সওয়াল করতে আসা আইনজীবীদের জানিয়ে দেন বিধানসভার অধ্যক্ষ এখনই যেন অতিসক্রিয় হয়ে কোন বিধায়কের বিধায়ক পদ খারিজের মত পদক্ষেপ না করেন। গোটা বিষয়টি আগামীকাল থেকে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চে শুনানি শুরু হবে।
উদ্ধব ঠাকরের চ্যালেঞ্জ
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে অন্তর্বর্তীকালীন ভোট করানোর দাবি তুলে দাবি করেছেন, কারও ক্ষমতা নেই শিবসেনার প্রতীক ছিনিয়ে নেওয়ার। উদ্ধব বলেন, শিবসেনার প্রতীক আমাদের কাছ থেকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। তির-ধনুকই আমাদের দলের নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন থাকবে। তার পরই সরাসরি শিন্ডেকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে আমাদের থেকে শিবসেনার প্রতীক ছিনিয়ে নিয়ে দেখান। পাশাপাশি একনাথ শিন্ডে যাতে শিবসেনার দখল নিতে না পারেন তার জন্য কিছুক্ষণ আগে জাতীয় নির্বাচন কমিশনে ক্যাভিয়েট দাখিল করলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে।
সাংবিধানিক বেঞ্চের দিকে তাকিয়ে মহারাষ্ট্র
শুধুমাত্র মহারাষ্ট্রের রাজনীতি নয়, ভারতীয় রাজনীতিতেও ঐতিহাসিক মাত্রা যোগ করতে পারে এই মামলার রায়। কারণ ভারতের রাজনীতিতে দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করা অথবা নতুন রাজনৈতিক দলের নেতা অথবা নেত্রী কোনো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অথবা দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন এমন নজির রয়েছে। কিন্তু বিদ্রোহ ঘোষণা করে বেরিয়ে গিয়ে দলের ঘোষিত সুপ্রিমোর কাছ থেকে দলের ক্ষমতা তথা অধিকার কেড়ে নেওয়ার মতো নজির আজ পর্যন্ত ভারতীয় রাজনীতিতে নেই। থেকে যে এমন ভাবে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে ইন্দিরা গান্ধী নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করে প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন, কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে নিজস্ব রাজনৈতিক দল গঠন করে নিজ নিজ রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন শরদ পাওয়ার অথবা মমতা।
সেই প্রসঙ্গ মাথায় রেখেই উদ্ধব বলেন, সুপ্রিম কোর্টের ১১ জুলাইয়ের রায় শুধু শিবসেনা নয়, ভারতীয় গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ স্থির করে দেবে।