সুপ্রিম কোর্টে আর্জি খারিজ, নন্দীগ্রাম মামলায় বড় ধাক্কা শুভেন্দুর

0

Last Updated on September 2, 2022 4:20 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি।

দেশের সবচেয়ে দামি আইনজীবীকে নিজের পক্ষে দাঁড় করিয়েও সুপ্রিম কোর্টে হেরে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামের নির্বাচনী ফলাফল নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মমতার দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন বাংলার বাইরের কোন আদালতে অথবা সুপ্রিম কোর্টের শুনানির দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। নিজের পক্ষে দাঁড় করিয়েছিলেন আইনজীবী হরিশ সালভেকে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট কার্যত পত্রপাঠ বিদায় করে দিল শুভেন্দুকে।

আজ সুপ্রিম কোর্টে নন্দীগ্রামের ইলেকশন পিটিশন কলকাতা হাইকোর্ট থেকে সরিয়ে বাংলার বাইরের কোন আদালতে অথবা সুপ্রিম কোর্টের স্থানান্তরিত করার জন্য শুনানি শুরু হলে শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষে আইনজীবী হরিশ সালভে অদ্ভুত দাবি করে জানান কলকাতা হাইকোর্ট তথা বাংলার সমস্ত বিচারকরা নাকি সকলে আতঙ্কিত। কলকাতা হাইকোর্টের কোন বিচারপতি নাকি নিরপেক্ষ বিচার কাজ করতে পারছেন না আতঙ্কে। যদিও সুপ্রিম কোর্ট শুভেন্দু অধিকারীরা আইনজীবীর এই অদ্ভুত বক্তব্য কার্যত হেসে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, বিচারপতিরা আতঙ্কিত হলে কি করতে হবে সেটা তারা বোঝেন। কলকাতা হাইকোর্ট নিজের সম্মান বজায় রাখতে জানেন। আপনারা কলকাতা হাইকোর্টেই ফিরে যান।


অন্যদিকে মমতার পক্ষে আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনুসিঙ্ঘভি শুভেন্দু আইনজীবীর এমন দাবি উড়িয়ে দিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপরেই আস্থা রাখেন। পাশাপাশি ইস সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরাও স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন কলকাতা হাইকোর্টে কোন বিচারপতি এই মামলার শুনানি করবেন তা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি নিজে ঠিক করবেন।

প্রসঙ্গত, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন মমতা। কারণ প্রথমে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে মমতাকে বিজয়ী ঘোষণা করার পরে বেশ কিছুক্ষণ গণনা কেন্দ্রে লোডশেডিং থাকার পরে আচমকাই বিজয়ী ঘোষণা করা হয় ভাজপা নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। হাইকোর্টে দায়ের করা হলফনামায় গণনায় কারচুপির অভিযোগের একাধিক বিষয় তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেদিন গণনার সময়ে দু’ঘণ্টার জন্য সার্ভার চলে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। তাও প্রশ্নচিহ্নের মুখে।


এছাড়াও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল বেরোনোর পরে মোবাইলে একটি মেসেজ দেখিয়ে মমতা সাংবাদিকদের সামনে বলেছিলেন, এক জনের কাছ থেকে এসএমএস পেয়েছি। নন্দীগ্রামের এক রিটার্নিং অফিসার জানিয়েছেন, বন্দুকের নলের মুখে কাজ করতে হচ্ছে। তিনি যদি পুনর্গণনার নির্দেশ দেন, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয় হতে পারে। নন্দীগ্রামে মেশিন পাল্টে দেওয়া হয়েছে।

সেই মামলায় প্রথমে বিচারপতি ছিলেন কৌশিক চন্দ। কিন্তু কৌশিক চন্দের সঙ্গে ভাজপার যোগাযোগের অভিযোগ তুলে মামলাটি অন্য বিচারপতির এজলাসে পাঠানোর আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। মমতার আপত্তির পরে বিচারপতি কৌশিক চন্দ্র এই মামলা থেকে সরে যেতে বাধ্য হওয়ার পরেই বিচারপতি শম্পা সরকার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে নন্দীগ্রামের নির্বাচন সম্পর্কিত যাবতীয় নথিপত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে ফরেনসিক তদন্তের দেওয়া মাত্র তড়িঘড়ি বাংলা থেকে মামলা সরানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টে ছুটে যান শুভেন্দু অধিকারী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here