Last Updated on January 8, 2021 6:56 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নন্দীগ্রাম নাকি তাঁর খাসতালুক। তার হাত ধরেই নাকি নন্দীগ্রামের মানুষ জমি আন্দোলন করেছিল বলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই দাবি করে আসছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। অথচ নন্দীগ্রামের শহীদ পরিবারগুলি তাকে গ্রামে বয়কট করার কথা ঘোষণা করতেই রাতের অন্ধকারে বারোটার পরে নিজের বিশ্বস্ত কিছু অনুগামী ও কয়েকজন সংবাদমাধ্যমের কর্মীকে বিজেপির পতাকা লাগানো গাড়িতে নিয়ে গিয়ে সোনাচূড়ার শহীদ স্তম্ভের গেস্ট হাউসের সামনে নমো নমো করে শহীদ স্মরণে ফটোসেশন করে পালিয়ে গেলেন গিরগিটেন্দু। অথচ দিন কয়েক আগেই তিনি দাবি করেছিলেন আজকের শহীদ দিবস উপলক্ষে নাকি তৃণমূল ও মমতাকে নিজের ক্ষমতা দেখাবেন নন্দীগ্রামে। ক্ষমতা দেখানো তো দূরের কথা, শীতের রাতের অন্ধকারে তাঁকেই দেখতে পেল না নন্দীগ্রামের মানুষ।
আজ ভোরবেলা তৃণমূল তথা নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের মূল উদ্যোক্তা ভূমি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করা হয়। সেই মঞ্চ থেকে কড়া ভাষায় শুভেন্দুকে আক্রমণ করেন ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা শেখ সুফিয়ান। আবু সুফিয়ান অভিযোগ করেন, নন্দীগ্রাম আন্দোলনের সময় শুভেন্দুকে এক রাত নন্দীগ্রামের না কাটিয়ে নিজেকে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের নেতা দাবি করলেই তো আর নন্দীগ্রামের মানুষ তা মেনে নেবে না।
নন্দীগ্রামে হালে পানি না পেয়ে এরপরে গাড়ি ছুটিয়ে গিরগিটেন্দু চলে যান নেতাইয়ে। সেখানে যাওয়ার পথে জঙ্গলমহলের মানুষ কনভয় লক্ষ্য করে স্লোগান তুলে গদ্দার দূর হটো। জনসমর্থন না থাকায় নেতাই গ্রামে ঢোকার পর থেকেই রীতিমতো কাঁচা টাকা ছড়াতে শুরু করেন তিনি। তবে শুধুমাত্র টাকা ছড়িয়ে অথবা সিআরপিএফ ঘেরা কনভয় নিয়ে ঘুরে বেড়ালেও যে জঙ্গলমহলের মানুষ তাকে বিশ্বাসঘাতকের দলেই ফেলে দিয়েছে, আজ শহীদ দিবস উপলক্ষে তাকে লক্ষ্য করে গদ্দার স্লোগানে তা স্পষ্ট হয়ে গেল।