৩৬৫ দিন।মর্মান্তিক ঘটনা ঘটছে একের পর এক।ফের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু শহরে।হরীদেবপুর-নারকেলডাঙ্গার পর এবার ট্যাংরাতে একই ঘটনা ঘটল।লোহার শাটারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে এবার মৃত্যু হয় ওই এলাকার এক দোকান মালিকের।এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।ট্যাংরার গোবিন্দ খটিক রোডে এই ঘটনা ঘটেছে।নারকেলডাঙা, হরিদেবপুর, উলুবেড়িয়া, বাঁকুড়ার পর এবার ট্যাংরায় একই ঘটনা ঘটেছে।নিজের দোকান থেকে বেরনোর সময় শাটারের লোহার ফ্রেম হাত লাগে।তাতেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন।
শহরের ল্যাম্পপোস্টগুলিকে হাত না দেওয়ার পরামর্শ পুরসভার
পুলিশ সূত্রে খবর,মৃত ওই দোকানদারের নাম বান্টি হালদার (৩৫)।মঙ্গলবার সকাল ৯টা নাগাদ গোবিন্দ খটিক রোডে কচুরির দোকানে রান্না করছিলেন বান্টি।তখন গ্যাস সিলিন্ডারে আগুন ধরে যায়।আশপাশের লোকজন যখন আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন, তখন দোকানের শাটারে হাত লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বান্টি।জানা গিয়েছে,ওই ব্যক্তি গোবিন্দ খাটিক রোডের খাবারের দোকানে রান্নার কাজ করছিলেন।
হঠাৎই গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে আগুন লেগে যায়।দোকান বাঁচাতে এবং জিনিসপত্র বাঁচাতে গেলে লোহার শাটারে হাত লেগে যায়।দোকান থেকে বেরতে গিয়ে লোহার শাটারের ফ্রেমে হাত লাগলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন বান্টি।এই ঘটনার পর ওই দোকানদারকে এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।সেখানে চিকিৎসকেরা সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
তবে পুলিশের দাবি, গ্যাস থেকে আগুন ধরে। সেখান থেকে ভিতরে ইলেকট্রিক লাইনে শর্ট সার্কিট হয়ে যায়। দোকানের শাটার বিদ্যুতের সংস্পর্শে চলে আসে।এরপর দোকান থেকে বেরতে গিয়ে শাটারে হাত লেগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।এই ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।ট্যাংরার ঘটনা নিয়ে গত দু’সপ্তাহে তৃতীয়বার কলকাতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।
এদিকে,এই ঘটনাগুলির পর শহরবাসীকে নানাভাবে সতর্ক করছে কলকাতা পুরসভা।কাউন্সিলররাও বাতিস্তম্ভগুলি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।সেগুলিতে কোনও জনসাধারণকে হাত দিতে নিষেধ করছে।ফেসবুকেও এমন প্রচার শুরু করা হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।