৩৬৫ দিন। লালবাতি হোক বা সবুজ বাতি – কলকাতার রাস্তায় ট্রাফিক সিগন্যালের রং যাই হোক না কেন, গাড়ির চাকা নট নড়ন চড়ন। চিংড়িঘাটা মোড় থেকে ইএম বাইপাসে মা ফ্লাইওভার ওঠার জন্য মাত্র এক কিলোমিটার রাস্তা গাড়িতে লেগে যাচ্ছে প্রায় ঘন্টা দেড়েক। এ তো গেল ইএম বাইপাসের কথা।
দুর্ভোগের আর হয়রানির ছবিটা আরেকটু বেশি দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়াহাট অথবা যাদবপুর থেকে ঢাকুরিয়া আসার রাস্তা অথবা উত্তর কলকাতায় উল্টোডাঙা থেকে শোভাবাজার মোড়। চিংড়িঘাটা জ্যাম ট্রাফিক পুলিশের ইচ্ছাকৃতভাবে বানানো ম্যান মেড জ্যাম বারে বারে প্রকাশ্যে বলে পুলিশকে সতর্ক হতে বলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। যিনি রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীও বটে।
তবে তার পরেও কলকাতার ট্রাফিক ব্যবস্থা যে তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে গিয়েছে। কারণ মুখ্যমন্ত্রী অথবা উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা নির্দেশ দিলেও সেই নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার করে নিজেদের পকেট ভরানোর জন্য মাঝ রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করানোতেই বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ট্রাফিক পুলিশের একশ্রেণীর অফিসার পদমর্যাদার আধিকারিক।
এই সমস্ত আধিকারিক রা ফ্লাইওভার বন্ধ করে রাস্তায় যেমন তৈরি করে ব্যস্ত থাকছেন পকেট ভরানোর কাজে। যার ফল ভোগ করতে হচ্ছে কলকাতার আম জনতাকে।