উফ কী গরম! Part-135

0

Last Updated on November 21, 2023 9:57 PM by Khabar365Din

উফ কী গরম !

HOT BIKINI

জেসিকা গোমস

৩৬৫দিন। জেসিকা গোমস একজন অস্ট্রেলিয়ান মডেল যিনি ২০০৮ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর আমেরিকান প্রকাশনা স্পোর্টস ইলাস্ট্রেটেডের বিকিনি কভার মডেল হিসেবে ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া এবং এশিয়ার সুপার মডেল হিসেবে পরিচিত তিনি। তিনি অস্ট্রেলিয়ান সংস্থা ডেভিড জোন্স লিমিটেডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর । তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা এলজি ইলেক্ট্রনিক্স ও হুন্ডাইয়ের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ছিলেন। ৩৮ বছর বয়সী এই মডেলের জন্ম সিডনি বা নিউ সাউথ ওয়েলসের নিকটবর্তী ওয়াহরোঙ্গায়। তবে গোমেস এক সাক্ষাৎকারে অবশ্য বলেছিলেন, তিনি সিডনিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি পার্থে বেড়ে ওঠেন। মেয়েকে দেখতে সুন্দর ভেবে গোমেসের মা তাকে ১৩ বছর বয়সে পার্থ শহরতলীর মিডল্যান্ডের লিন্ডা-অ্যান মডেল একাডেমিতে মডেলিং ক্লাসে ভর্তি করেছিলেন। সেখানে তার অভিনয় মডেলিং প্রতিযোগিতা এবং তার কেরিয়ার শুরু করেছিল। শুরুতে ইচ্ছা না থাকলেও পরবর্তীতে তিনি মডেলিং কে ভালোবেসে ফেলেন। পড়াশোনা তো দূরের কথা মডেলিং নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। ২০০৪ সালে, তিনি নিউ ইয়র্ক সিটিতে যাওয়ার পরে আইএমজি মডেলিং সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন । তিনি প্যারিস ও মিলানকে তো দূরের কথা টোকিও, সিওল, হংকং, বেইজিং এবং সাংহাই-সহ এশিয়ার বেশিরভাগ শহরে ব্যাপক বিভিন্ন মডেলিং সংস্থার সঙ্গে কাজ করেছেন।

HOT SPOT

আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগার, ইজিপ্ট

৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজারের মিশর আক্রমণের সময়, ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরেলিয়ান আক্রমণের সময়, ৩৯১ খ্রিষ্টাব্দে কপটিক পোপ থেওফিলাসের নির্দেশে সংঘটিত পৃথক পৃথক অগ্নিকাণ্ডে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারটি ভস্মীভূত হয়।

৩৬৫ দিন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান হিসেবে লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্ৰিয়া তে গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান ও অন্যান্য নানা বিষয়ের গ্রন্থ ছিলো সাম্রাজ্যের প্রধান গ্রন্থাগার হওয়ায় এখানে প্রাচীন বিশ্বের প্রথম এবং প্রধান গ্রন্থপাঠ সমালোচনার কেন্দ্র ছিলো এই গ্রন্থাগার। বিভিন্ন মহাদেশের অসংখ্য পণ্ডিতের পদচারণায় মুখরিত থাকতো লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্রিয়া৷ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পণ্ডিতরা এখানে এসে জড়ো হয়েছিলেন এবং তারা সার্বক্ষণিক চিন্তাভাবনা, গবেষণা, ভাষণ প্রদান ও পাণ্ডুলিপি পুনর্লিখনের কাজে নিয়োজিত থাকতেনউঅবাক করা বিষয় হল- সে সময়ে এই পাঠাগারে জ্ঞান আহরণের ক্ষেত্রে নারী পুরুষ কোনো ভেদাভেদ ছিল না। হাইপেশিয়া ছিলেন ঐ সময়ের আলেক্সান্দ্রিয়ার একজন বিখ্যাত নারী

গণিতবিদ। সমাজের সকল স্তরের মানুষের জন্য এক তীর্থস্থান হিসাবে গণ্য করা হতো এবং আজও তা অব্যহত। এসেছে জ্ঞান আহরন করতে। আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান, সভ্যতার গোড়াপত্তন হয়েছিল এই পাঠাগার থেকেই। এখানে বসেই অ্যারিস্টারকাস বলেছিলেন, পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে ক্রমাগত ঘুরছে। ইউক্লিড লিখেছিলেন এলিমেন্ট অফ জিওমেট্রি যা এখনো জ্যামিতি নিয়ে লেখা সবচেয়ে সফল এবং প্রভাবশালী পাঠ্যপুস্তক হিসাবে বিবেচিত। হেরোফিলাস এখানে পাওয়া স্কুলগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে বলেছিলেন, মানব মস্তিস্কই হচ্ছে শরীরের নিয়ন্ত্রক এবং উন্মোচিত হয় চিকিৎসাশাস্ত্রের এক নতুন অধ্যায়। অ্যাপোলোনিয়াস ও আর্কিমিডিস এর মতো জ্ঞানীরাও কোনোকালে এই পাঠাগারে এসেছিলেন তাদের জ্ঞান মেটাতে। লাইব্রেরি অফ আলেকজান্দ্রিয়া একটা সময় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছিল। যার ফলে বহু স্ক্রোল ও বই চিরতরে নষ্ট হয়ে যায়। সম্ভবত ৪৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে জুলিয়াস সিজারের মিশর আক্রমণের সময়, ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে আরেলিয়ান আক্রমণের সময়, ৩৯১ খ্রিষ্টাব্দে কপটিক পোপ থেওফিলাসের নির্দেশে সংঘটিত পৃথক পৃথক অগ্নিকাণ্ডে আলেকজান্দ্রিয়ার গ্রন্থাগারটি ভস্মীভূত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে, ভূমধ্যসাগর তীরে যেখানে প্রাচীন গ্রন্থাগারটি একসময় দাঁড়িয়ে ছিলো, সেখানেই পুরানো লাইব্রেরিটিকে পুনরুজ্জীবিত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। নির্মাণ কাজ ১৯৯৫ সালে শুরু হয় এবং কমপ্লেক্সটি আনুষ্ঠানিকভাবে ১৬ অক্টোবর ২০০২ তারিখে উদ্বোধন করা হয়। এতে ব্যয় হয় প্রায় ২২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। কায়রো থেকে ঘুরে আসা যায় এই লাইব্রেরিতে। ঐতিহাসিক লাইব্রেরিতে ইংরেজি অনুদিত রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্রের বই রয়েছে।

HOT FOOD

মিশরীয় ফাতেহ

৩৬৫দিন। মিশরীয় ফাতেহ যেকোনও উপলক্ষ উদযাপনের জন্য এটি একটি ঐতিহ্যবাহী মিশরীয় খাবার। মিশরীয় ফতেহ হল উৎসবের সূক্ষ্ম খাবার। এটি মূলত তৈরি করা হয় ল্যাম্ব কিংবা বিফ দিয়ে। এটি পরিবেশন করা হয় রুটি এবং ভাতের সঙ্গে। এটি মূলত রসুনে ভেজানো – এবং ভিনেগার-মিশ্রিত ল্যাম্ব দিয়ে তৈরি গ্রেভি যা বড়দিনের খাবারের টেবিলের অন্যতম আকর্ষণ ৷ ঈদুল আযহায় এর দীর্ঘ দিনের উপবাসের পর, ৬ জানুয়ারী মধ্যরাতে ভরের সমাপ্তি ঘটে, মিশরীয় অর্থোডক্স সম্প্রদায়ের অনেকেই প্রচুর পরিমাণে ছোট ছোট করে কাটা মাংস মাংস ভিনিগার এবং রসুনের সসে ডুবিয়ে খেয়ে থাকেন। এছাড়াও বিয়ে, জমায়েত, রমজান এবং একটি নতুন শিশুর উদযাপনেও ফাতেহ পরিবেশন করা হয়। চিকেন চিকেন শাওয়ারমা ফাতেহ এবং বেগুন দিয়ে তৈরি ফাতেহের মতো বিভিন্ন নাম রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ফাতেহ খুবই জনপ্রিয়। ফাত্তাহ টোস্ট করা পিটা রুটি, ভাত, ঝোল এবং মাংসের স্তর দিয়ে তৈরি করা হয় এবং এটির স্বাদ যতটা ভালো ততটাই সহজ এটি তৈরি করা। যদিও ফাত্তাহ রান্নার এই পদ্ধতিটি মিশরের ঐতিহ্যবাহী, তবে অঞ্চল অনুসারে খাবারটির নাম এবং চরিত্র পরিবর্তন হয়।