Last Updated on January 8, 2021 6:17 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। শান্তিনিকেতনের গর্ব অমর্ত্য সেনকে অপমান থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পৃষ্ঠপোষকতায় তৈরি ১০৪ বছরের পুরনো আলাপিনী সমিতি বন্ধ করে ভাজপা এবং আরএসএস এর নির্দেশে বিশ্বভারতীতে হিটলারি শাসন প্রতিষ্ঠার অভিযোগ উঠল বিশ্বভারতীর বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।
জয় জয় সত্যের জয়, সদা সত্যের জয় হোক – এমনই আবেদন নিয়ে প্রতিবাদী পথে গুণীজনেরা। আলাপিনী সমিতির সদস্যদের ঘর ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে পথে নামলেন সদস্যবৃন্দ। শুক্রবার সকালে নোবেল জয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করেন আশ্রমিকরা। তাদের হাতে প্রতিবাদী ব্যানার। পদযাত্রায় অংশ নিয়েছেন বিশ্ব ভারতীয় প্রাক্তন বর্তমান ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে আশ্রমিকরা। পদযাত্রা শেষ হয় বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় ভবনের সামনে। আলাপিনী সমিতির সদস্যদের তরফ থেকে ঘর খুলে দেওয়ার আবেদন জানিয়ে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয় বিশ্বভারতী উপাচার্যের উদ্দেশ্যে। আলাপিনী সমিতির সহ-সভাপতি অপর্ণা চৌধুরী জানিয়েছেন, আজকের পদযাত্রা শেষে বিশ্বভারতীর তরফ থেকে কেউ যেন একজন আমাদের সাথে এসে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার জন্য উদ্যোগী হয়। কিন্তু আমরা আশাহত আমাদের স্মারকলিপিটি জমা নিয়ে আমাদেরকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। অবিলম্বে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আমাদের ঘর তবে আমরা গানের সুরে এই আন্দোলনকে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ স্থায়ী করবো। প্রবীণ আশ্রমিক কুন্তল রুদ্র জানিয়েছেন, বিশ্বভারতীতে জীবন কেটে গেল, আর কিছুদিন পরে মৃত্যু আসন্ন, বর্তমান উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যে হিটলারি শাসনব্যবস্থা বিশ্বভারতী জুড়ে কায়েম করেছে তা নজিরবিহীন। আলাপিনী সমিতির সদস্যরা যে আন্দোলন গড়ে তুলছে তা সম্পূর্ণরূপে সমর্থনযোগ্য। ভবিষ্যতে এই আন্দোলনের পাশে থাকার করেছেন সকল আশ্রমিকবৃন্দ।
আশ্রমিক সুবোধ মিত্র জানিয়েছেন, বিশ্বভারতী জুড়ে যে রাবীন্দ্রিক ভাবনা ছিল বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। বিশ্বভারতী এখন চলছে কেন্দ্রীয় সরকার নামক রাষ্ট্রযন্ত্রের অঙ্গুলিহেলনে। আলাপিনী সমিতির সদস্যা মনীষা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অর্ম্যত সেনের মা অমিতা সেন সমিতির আজীবন সদস্যা ছিলেন। অর্ম্যত সেনকে মর্য্যাদা দিতে পারেন না। বিশ্ব বিখ্যাত খ্যাত নোবেলজয়ী একজন মানুষকে যেভাবে অপদস্ত করা হচ্ছে তা নিন্দা জানানোর ভাষা নেই। ঘোর অন্যায় করছেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী । বিশ্বাসের বাতাবরণ থেকে নষ্ট করে ফেলেছেন উনি। আশ্রমের আকাশ বাতাস দূষিত হয়ে গেছে। কান্না আসছে। গুরুদেবের আশ্রম কে আমরা অভ্যস্ত নই। শুধু এইটুকু আশা মৃত্যুর আগে যেন অতীতের আশ্রম কে দেখে যেতে পারি।