Last Updated on September 21, 2020 3:14 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পৌষ মেলার মাঠে নিয়মিত যৌন চর্চা চলে এমনই দাবি করেছিলেন মহিলা মোর্চার সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। কিন্তু দলের সভানেত্রীর এই মন্তব্যের একদম বিপরীত মন্তব্য করলেন বিজেপির যুব মোর্চার নেতা অনুপম হাজরা। অনুপম হাজরার এই মন্তব্যে কার্যত বেকায়দায় পড়ে গেল রাজ্য বিজেপি । তার দাবি, ছোট থেকে বিশ্বভারতীতে পড়াশোনা করেছি, রাজনীতির ঊর্ধ্বে মানুষ, বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী হিসাবে বলতে পারি , যৌন চর্চা বা সেক্স রেকেট চলে না বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এধরনের মন্তব্য যারা করছেন তারা একেকজন ননসেন্স। না জেনে বুঝে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে এধরনের মন্তব্য যারা করছে আর যাই হোক তারা সমাজের দায়িত্বশীল মানুষদের মধ্যে পড়ে না। শান্তিনিকেতন গুরুদেবের শিক্ষার আশ্রম, সেখানে মানুষ খোলা মনে আসে, বাউল চর্চা করে, বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে পড়ুয়ারা গুরুদেবের আদর্শে নিয়োজিত করে নিজেদেরকে। সেখানে এই ধরনের নোংরা কাজ হতেই পারে না। পৌষ মেলার মাঠ ঘেরাকে নিয়ে যে ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধেছিলো বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী একগুঁয়েমির জন্য, উপাচার্যের সেই মুর্খামিকে ঢাকতে বিশ্বভারতীতে এসেছিল বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পল, বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় ভবন উপাচার্যের সঙ্গে দীর্ঘক্ষন বৈঠক করার পর বাইরে বেরিয়ে তিনি অভিযোগ করেছিলেন উপাচার্য মেলার মাঠ ঘিরে ফেলতে চাইছেন, তার কারণ হল মেলার মাঠে সেক্স রাকেট চলে। বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পলের এই মন্তব্যের পর সমালোচনার ঝড় উঠেছিল আশ্রমিকদের মধ্যে। তীব্র সমালোচনা করেছিলেন সুপ্রিয় ঠাকুর। সেই সমালোচনাকে মান্যতা দিল বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চার নেতা অনুপম হাজরা। তৃণমূল কংগ্রেসের অবশ্য দাবি, নেতা-নেত্রীরা একে অপরের দিকে কাঁদা ছুড়বে এটাই বিজেপির সহজাত রাজনৈতিক চরিত্র।