Last Updated on December 8, 2020 1:10 AM by Khabar365Din
তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে
■ ১৫,০০০ কোটি টাকার বিনিয়ােগ হবে।
■ ২৫০০০ মানুষের কর্মসংস্থান।
■ খড়গপুর সংলগ্ন এলাকার লােহা ও ইস্পাত কারখানার রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে।
■ পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়ার লােহা ও ইস্পাত রপ্তানি উল্লেখযােগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে।
■ মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও জাপানে সি ফুড রপ্তানি হয়, এই বন্দর হলে সি ফুড রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে, লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবি উপকৃত হবেন, অনেক কর্মসংস্থান হবে এবং সি ফুডের নতুন পরিকাঠামাে হবে।
৩৬৫ দিন রাজ্য সরকারের তরফে বারেবারে অনুরােধ করা সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার পূর্ব মেদিনীপুরের তাজপুর বন্দর মেয়ে বাংলাকে বঞ্চনা করে যাওয়ার পরে নিজের উদ্যোগেই এই বন্দর বানানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রীয় বঞ্চনা প্রসঙ্গ তুলে বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলার তৈরিতে কোন উৎসাহ দেখায় নি। তাই আমরাই ওয়েস্ট বেঙ্গল মেরিটাইম বাের্ড ও ডব্লিউ বি আই ডি সি-র অধীনে তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর বাড়ানাের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলার জন্য এটা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাজপুর গভীর বন্দরের নির্মাণকাজে অনুমােদন দিয়েছে রাজ্য মন্ত্রীসভা। মেদিনীপুর এবং বাংলার মানুষদের জন্য এটি এক ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। এটি রাজ্যের প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর কলকাতা এবং হলদিয়া বন্দর নাব্যতা হারানাের পরে তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে উঠলে তাজপুর বন্দরে কমপক্ষে ১৫০০০ কোটি টাকার বিনিয়ােগ করতে রাজি হয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। তাজপুরের বন্দর তৈরি হয়ে গেলে কর্মসংস্থান হবে ২৫০০০ মানষের। সেই সঙ্গে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের ব্যবসার বিপুল প্রসার ঘটবে। খড়গপুর সংলগ্ন এলাকার লােহা ও ইস্পাত কারখানার রপ্তানি বৃদ্ধি পাবে। পাশাপাশি, পুরুলিয়া, বর্ধমান, বাঁকুড়ার লােহা ও ইস্পাত রপ্তানি উল্লেখযােগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাবে। প্রসঙ্গত, মেদিনীপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ও জাপানে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণে সি ফুড রপ্তানি হয়। এই বন্দর হলে সি ফুড রপ্তানিও বৃদ্ধি পাবে। লক্ষ লক্ষ মৎস্যজীবি উপকৃত হবেন, অনেক কর্মসংস্থান হবে এবং সি ফুডের নতুন পরিকাঠামাে হবে।