Last Updated on March 20, 2022 6:52 PM by Khabar365Din
সৌগত মন্ডল। খবর ৩৬৫ দিন।
কয়েকদিন আগে রীতিমতো নয়া রেকর্ড করে নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণা করেছে আলিমুদ্দিন। নয়া রাজ্য কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই সিপিআইএমের নাম বদলে পরিণত হয়েছে সিপিএফ অথবা কমিউনিস্ট পার্টি অফ ফেসবুক-এ। অর্থাৎ কমিউনিজমের ভাবধারায় অথবা আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তেভাগা আন্দোলন অথবা অপারেশন বর্গা সফল করার জন্য গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে কৃষকের অধিকারের জন্য লড়াই করে উঠে এসে নেতা হওয়া নয়, ফেসবুক এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কত সময় দিতে পারে এবং কার কত ফলোয়ার বেশি সেই পরিমাপ দেখার পাশাপাশি কোন টিভি চ্যানেলে কে কত বেশি বার প্যানেলে বসার চান্স পেয়েছে তার নিরিখেই তৈরি হয়েছে নয়া রাজ্য কমিটির তালিকা।
তবে আন্দোলনের ক্ষেত্রে নিতান্তই শিক্ষানবিশ অথবা আন্দোলন কাকে বলে তা নিয়ে বিন্দুমাত্র জ্ঞান না থাকা রাজ্য কমিটির সদস্যদের যাতে নতুন করে হাসির খোরাক না হতে হয় তার জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা পাঠিয়ে আগামী মাস কয়েকের জন্য গ্রুমিং পিরিয়ড করেছে আলিমুদ্দিন।
চ্যানেল প্যানেল ডিজিটাল
রাজ্য কমিটির সদস্য হয়ে এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি প্রয়োজন যত বেশি সংখ্যক টিভি চ্যানেলে যত বেশি সম্ভব প্যানেলে বসা। এর জন্য প্রথমেই প্রত্যেকটি টিভি চ্যানেলে যে সমস্ত অ্যাঙ্কররা বিভিন্ন আলোচনার প্যানেল হোস্ট করেন, তাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত স্তরে সম্পর্ক বাড়িয়ে বেশি সংখ্যক রাজনৈতিক আলোচনার প্যানেলের নিমন্ত্রণ জোগাড় করে টিভিতে মুখ দেখাতে হবে। সেইসঙ্গে নিশ্চিত হতে হবে এই সমস্ত বন্ধু অ্যাঙ্কররা যেন স্টেপ আউট করে ছয় মারার মতো সহজ প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। অন্যদিকে ফেসবুক এবং টুইটার এর মত সোশ্যাল মিডিয়ায় হ্যান্ডেল গুলিতে যত বেশি সংখ্যক সংখ্যক ফলোয়ার বাড়িয়ে ডিজিটাল দুনিয়ায় নিজেদের প্রভাব বিস্তার করতে হবে।
মাঠে নেমে আন্দোলন নয়
একান্ত প্রয়োজন না পড়লে রাজনৈতিকভাবে অতি সক্রিয়তা দেখানো বন্ধ রাখুন আগামী কয়েক মাস। বেশি সক্রিয় তা দেখাতে গেলে ফাঁকা কলসির মত মুর্খামি সামনে চলে এলে বিরোধীরা সমালোচনার জন্য তৈরি জমি পেয়ে যাবে। সব থেকে বড় কথা মাঠে নেমে আন্দোলন করতে গেলেই দলের যে শক্তি বৃদ্ধি হয়নি এই সহজ সত্যটা সাধারন মানুষের চোখে পড়ে গেলে ভোট বাক্সের পাশাপাশি ডিজিটাল ইমপ্রেশনের ক্ষেত্রেও দলের শক্তি ক্ষয় হবে।
বালিগঞ্জ আসানসোল নিয়ে মাতামাতি নয়
বালিগঞ্জ এবং আসানসোলে উপনির্বাচন ঘোষণা হওয়ায় দলের প্রেস্টিজ রক্ষা করতে দুজন প্রার্থীর নাম খাতায়-কলমে ঘোষণা করলেও তা নিয়ে দলের নতুন রাজ্য কমিটির নতুন সদস্যদের বিন্দুমাত্র মাথা ঘামানোর প্রয়োজন নেই। আসানসোলে জামানত যোগ্য হওয়ার পাশাপাশি বালিগঞ্জে ভালো ব্যবধানে পরাজয় নিয়ে কোন সন্দেহ নেই আলিমুদ্দিনের। তাই এই দুই আসনে প্রচার করতে যাওয়া নিয়েও মাথাব্যথার প্রয়োজন নেই।
দেউচা পাচামিতে এখনই পা রাখবেন না
দেউচা পাচামি নিয়ে দলের পক্ষ থেকে যে ধরি মাছ না ছুঁই পানি – ধরনের নীতি গৃহীত হয়েছে, তা আপাতত অপরিবর্তিত থাকবে। রাজ্য কমিটির সদস্যদের এখনই দেন চাপাচাপি নিয়ে কোথাও মুখ ফসকে একটি শব্দ উচ্চারণ করা উচিত নয়। ডেউচা পাচামিতে পা রাখা তো দূরের কথা। বিষয়টি এতটাই সেন্সিটিভ যে, সুজনের মতো যে দু’চারজন নেতা ভাজপা এবং মাওবাদীদের সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং করে কর্মসূচি ঠিক করেছেন সেভাবেই চলতে থাকুক।