Last Updated on August 22, 2021 12:23 AM by Khabar365Din
খবর ৩৬৫ দিন ও বাংলাদেশ সংবাদসংস্থা যৌথভাবে
৩৬৫দিন। বাংলাদেশের মক্ষীরানী পরীমনিকে বাঁচাতে নেমেছেন তার গডফাদার আবুল খের লিটু। কিন্তু কে এই লিটু ভাই? কি কারণে টালিগঞ্জের প্রভাবশালী প্রযোজক ,নায়করা তার সঙ্গে দেখা করতে বাংলাদেশে ছুটে যান? কোন প্রোডাকশন হাউজের মালিকও নন তিনি,তাহলে লিটু ভাইয়ের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ কেন? আবুল খের লিটু নিজেকে শিল্প অনুরাগী বলেই দাবি করে থাকেন। এককথায় তিনি বাংলাদেশের শিল্প সংস্কৃতি জগতের তথাকথিত অভিভাবক। বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান লিটু ভাইয়ের মূল ব্যবসা মিডিয়া, বিজ্ঞাপন, কেবিল টেলিভিশন হলেও তার নামে রয়েছে একাধিক আর্ট গ্যালারি। এই আর্ট গ্যালারির মাধ্যমে বাংলাদেশের শিল্প-সংস্কৃতিকে বিদেশে প্রোমোট করাই নাকি তার কাজ। কিন্তু বাংলাদেশের সিনেমা জগতের প্রভাবশালী এই ব্যবসায়ীর আর বেশকিছু ব্যবসা আছে। প্রথম থেকেই তার সঙ্গে দুবাইয়ের কানেকশন রয়েছে।এমনকি বাংলাদেশে বেসরকারি এবি ব্যাংক প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে দুবাই ব্যাংকের কোলাবরেশনের করার পিছনে ছিলেন লিটু ভাই।

অভিযোগ ,দুবাই সহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির সঙ্গে মাদক পাচারের ডিলিং রয়েছে তার। পরীমনি সহ সিনেমা জগতের কয়েকজন কলাকুশলীদের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাদক ব্যবসার জাল বিস্তার করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, সরাসরি সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত না হলেও বেনামে তার প্রচুর টাকা ওপার বাংলার একাধিক প্রোডাকশন হাউজে খাটে। লিটু ভাই সরাসরি সিনেমায় টাকা না ঢাললেও তার একাধিক আর্ট গ্যালারি ও বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার মাধ্যমে টাকা সিনেমায় বিনিয়োগ করতেন। এমনকি পরমনীকে বাঁচাতে যেসব প্রযোজকরা এগিয়ে এসেছে তাদের অধিকাংশ প্রোডাকশনেই খাটত লিটুর টাকা। এবং এদের অধিকাংশ প্রোডাকশনে কাজ করেছেন পরীমনি। যার কারনেই বাংলাদেশের সিনেমা জগতে কার্যত গডফাদার হিসেবে পরিচিত তিনি। শোনা যায় বাংলাদেশে রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও খুবই প্রভাবশালী তিনি। বাংলাদেশ বর্তমান শাসকদল আওয়ামী লীগের সঙ্গে তার সম্পর্ক ভালো না হলেও বিরোধী নেত্রী খালেদা জিয়ার খুবই ঘনিষ্ট অবুল খের লিটু। ফলে শিল্প-সংস্কৃতি হোক কিংবা সিনেমার জগত সর্বত্রই তার আধিপত্য রয়েছে। এবার তাই বাংলাদেশের গোয়েন্দাদের নজরে রয়েছে তার ওপর।