Last Updated on September 10, 2023 12:44 PM by Khabar365Din
পুণ্যলতা চক্রবর্তী
(জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৮৯০)
■
(প্রয়াণ ২১ নভেম্বর ১৯৭৪ )

প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক। তাঁর আদিনিবাস ছিল বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জ। তাঁর পিতা বিখ্যাত শিশু সাহিত্যিক, সঙ্গীতজ্ঞ এবং যন্ত্রকুশলী উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী। তাঁর বড়ভাই ছিলেন প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক বাংলা সাহিত্যে ননসেন্সের প্রবর্তক সুকুমার রায়। অন্য দুই ভাই হলেন সুবিনয় রায় এবং সুবিমল রায়। আর দুই বোন হলেন সুখলতা রাও এবং শান্তিলতা। তাঁর স্বামী ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অরুণনাথ চক্রবর্তী। তাঁর দুই কন্যাই কৃতি। বড় মেয়ে কল্যাণী কারলেকার। বিশিষ্ট সমাজসেবী এবং ইংরেজি সাহিত্যের অধ্যাপিকা এবং লেখিকা। ছোট মেয়ে নলিনী দাশ। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ,অধ্যাপিকা, অধ্যক্ষা এবং শিশু সাহিত্যিক।
তিনি নিজে বহু গল্প, উপন্যাস এবং অনুবাদ গল্প লিখেছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনার মধ্যে রয়েছে ছেলেবেলার দিনগুলি, ছোট ছোট গল্প, গাছপালার কথা, রাজবাড়ি (উপন্যাস)ইত্যাদি।
ধনঞ্জয় ভট্টাচার্য
(জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯২২)
■
(প্রয়াণ ২৭ ডিসেম্বর, ১৯৯২ )

বাংলা গানের গায়ক। সঙ্গীতকার ও সঙ্গীত নির্দেশক হিসেবেও তাঁর খ্যাতি ছিল। শ্যামা সঙ্গীতে এক অসাধারণ কন্ঠশিল্পী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তাঁর জন্ম ব্রিটিশ ভারতের অধুনা পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বালির এক অতি রক্ষণশীল শাক্ত পরিবারে। তাঁর মা অন্নপূর্ণা দেবী সুন্দর গান গাইতেন। প্রাথমিক লেখাপড়া বালির রিভার্স টম্পসন স্কুলে।
পারিবারিক ও ধর্মীয় ভাবেই তাঁর সঙ্গীত শিক্ষা ও সাধনা শুরু হয়েছিল। সঙ্গীতের তালিম নেন গোকুল নাগ, পন্ডিত সত্যেন ঘোষাল প্রমুখের কাছে।
আধুনিক বাংলা ও হিন্দি গান দিয়ে সঙ্গীত জীবন শুরু করেন। ১৯৪০ সালে পায়োনিয়ার রেকর্ডে গাওয়া তাঁর প্রথম গান — যদি ভুলে যাও মোরে অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়। শহর থেকে দূরে সিনেমায় — রাধে ভুল করে তুই চিনলে না– গানটি গেয়ে তিনি লাইমলাইটে চলে আসেন। বহু জনপ্রিয় গানের তিনি সুরকার ছিলেন। বাংলা আধুনিক গান ছাড়াও নজরুল গীতি, শ্যামা সঙ্গীত এবং উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সব শাখাতেই তাঁর দক্ষতা ছিল। মহাপ্রস্থানের পথে সিনেমায় তাঁর দেওয়া সুর প্রায় ইতিহাস সৃষ্টি করেছিল। ১৯৫৬ সালে সাধক রামপ্রসাদ ছবিতে ২৩ টি গান তিনি গেয়েছেন। হিন্দি ছবি মহাপ্রভু চৈতন্য-র গানগুলি বিশেষ উল্লেখযোগ্য। পাঁচ দশকের সঙ্গীত জীবনে তিনি প্রায় ৫০০টি গানের রেকর্ড করেছেন। লিখেছেন প্রায় ৪০০ টি গান।
অভিনয় করেছেন নববিধান, পাশের বাড়ি, লেডিজ সিট- এর মতো খান পাঁচেক ছবিতে।
তাঁর জনপ্রিয় আধুনিক গানের মধ্যে রযেছে মাটিতে জন্ম নিলাম, এই ঝির ঝির বাতাসে, ঝনন ঝনন বাজে, অন্তবিহীন এই অন্ধ রাতের… ইত্যাদি।
রঞ্জিত সিংজি
(জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর, ১৮৭২)
■
(প্রয়াণ ২ এপ্রিল ১৯৩৩ )
১৯০৭ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত তিনি নওয়ানগর রাজ্যের শাসক ছিলেন। তাঁকে নলা হত মহারাজা জাম সাহেব। তিনি ক্রিকেট এতটাই ভালো খেলতেন যে , ভারতীয় রাজা হয়েও ইংল্যান্ডের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলছিলেন। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হয়ে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট এবং সাসেক্স-এর হয়ে কাউন্টি ক্রিকেটও খেলেছেন। তাঁকে বলা হয় ভারতীয় ক্রিকেটের জনক, কারণ তিনিই এই দেশে এই খেলার অন্যতম পথিকৃৎ।
তাঁর সময়ে তিনি ছিলেন অন্যতম সেরা ব্যাটার। ক্রিকেট লেখক নেভিল কারডাস তাঁর সম্পর্কে বলেছেন– তিনি ছিলেন ক্রিকেটের মিডসামার নাইটস ড্রিম। তাঁর টেকনিক এবং ব্যাটিং শৈলী এক নতুন ধারার জন্ম দিয়েছিল ক্রিকেট ব্যাটিংয়ে।
তিনি ১৫ টি টেস্ট ম্যাচে রান করেছেন ৯৮৯। সেঞ্চুরি রয়েছে ২টি।এ
ভারতের প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট টুর্নামেন্ট-এর নাম তাঁর সম্মানে রাখা হয়েছে রঞ্জি ট্রফি।
সি আর রাও
(জন্ম ১০ সেপ্টেম্বর ১৯২০)
■
(প্রয়াণ ২২ আগস্ট ২০২৩ )

পুরো নাম ক্যালিয়ামপুদি রাধাকৃষ্ণ রাও। একজন ভারতীয়-আমেরিকান গণিতজ্ঞ এবং পরিসংখ্যানবিদ। পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর এমেরিটাস এবং বাফালো ইউনিভার্সিটির রিসার্চ প্রফেসর ছিলেন। তিনি অনেক পুরস্কার এবং সম্মান পেয়েছেন যার মধ্যে অন্যতম হল ২০০২ সালে ইউএস ন্যাশনাল মেডাল অফ সায়েন্স। আমেরিকান স্ট্যাটিস্টিকাল অ্যাসোসিয়েশন-এর মতে তিনি হলেন জীবন্ত কিংবদন্তি। তাঁর কাজ শুধু যে স্ট্যাটিস্টিক্স-এর জগতে কাজে লেগেছে তা নয়, অর্থনীতি, জেনেটিক্স, নৃতত্ব ,ন্যাশনাল প্ল্যানিং, ডেমোগ্রাফি,
বায়োমেট্রি এবং মেডিসিন-এর জগতেও বিপুল কাজে এসেছে। দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়া-র মতে তিনি হলেনসর্বকালের সেরা দশজন বিজ্ঞানীর একজন।ভারত সরকার তাঁকে ২০০১ সালে পদ্ম বিভূষণ সম্মান দেয়।