Last Updated on September 25, 2023 1:25 PM by Khabar365Din
ল্যু শুন
(জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর , ১৮৮১)
■
(প্ৰয়াণ ১৯ অক্টোবর, ১৯৩৬)
একজন চৈনিক সাহিত্যিক। তাঁকে শুধু বিংশ শতকের একজন অন্যতম প্রধান চৈনিক সাহিত্যিক হিসেবেই ধরা হয় তাই নয়, আধুনিক চিনা সাহিত্যের জনক হিসেবেও তাঁকে বিবেচনা করা হয়। তিনি ছিলেন একাধারে ছোটগল্পকার, সম্পাদক, অনুবাদক, সমালোচক, গদ্যলেখক এবং কবি। ১৯৩০এর দশকে তিনি বামপন্থী লেখকদের প্রধান হয়ে ওঠেন।
চিনের চচিয়াং প্রদেশের শাওশিং শহরে এক শিক্ষিত পরিবারে তাঁর জন্ম। নানচিং-এর চিয়াংনান নৌ একাডেমিতে ১৮৯৮ সালে তিনি বিদ্যারম্ভ করেন। ১৯০০ সালে তিনি নানচিং-এর চিয়াংনান সামরিক প্রশিক্ষণালয়ের অধীনস্থ রেলওয়ে এবং খনি বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন।
স্নাতক হওয়ার পর ১৯০২ সালে একটা স্কলারশিপ পেয়ে তিনি জাপান চলে যান এবং সেখানে সেন্দাই চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন শুরু করেন। কিন্তু সেই পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে তিনি সাহিত্য পড়তে উৎসাহী হন, কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক ক্ষমতা না থাকায় লেখাপড়া না করে চিনে ফিরে আসতে বাধ্য হন। সেখানে চিনা শিক্ষা মন্ত্রকে একটি চাকরি পান।
১৯১৯ মে চতুর্থ আন্দোলনের পর, তাঁর লেখা প্রভাব ফেলতে থাকে চিনা সাহিত্য এবং সংস্কৃতির উপর। ১৯৪৯ সালে জনগণতান্ত্রিক চিন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চিনা সরকার দ্বারা তিনি প্রশংসিত হন। মাও জে দং তাঁর লেখার ভক্ত ছিলেন। যদিও সোশালিস্ট আদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলেন, তবুও চিনা কমিউনিস্ট পার্টিতে কোনোদিন যোগদান করেন নি।
তাঁর ইংরেজিতে অনূদিত উল্লেখযোগ্য লেখার মধ্যে রয়েছে সিলেক্টেড স্টোরিজ অফ ল্যু শুন, দ্য রিয়েল স্টোরি অফ আহ কিউ অ্যান্ড আদার টেলস অফ চায়না ইত্যাদি।
উইলিয়াম ফকনার
(জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর , ১৮৯৭)
■
(প্ৰয়াণ ৬ জুলাই , ১৯৬২)
সাহিত্যে নোবেল জয়ী মার্কিন সাহিত্যিক। মিসিসিপি-র নিউ আলবেনিতে তাঁর জন্ম। তাঁর যখন পাঁচ বছর বয়েস, তখন তাঁর পরিবার মিসিসিপির অক্সফোর্ড শহরে চলে আসেন। এই শহরেই তিনি তাঁর জীবনের অধিকাংশ সময় কাটান।
তিনি হাইস্কুল শেষ করতে পারেননি। যদিও তিনি বিশেষ ছাত্র হিসেবে মিসিসিপি ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিলেন, কিন্তু তিনি শিক্ষা সমাপ্ত করতে পারেন নি। তিনি যুদ্ধের সময় রয়াল এয়ারফোর্স-এ যোগ দেন কিন্তু তিনি যুদ্ধে অংশ নেবার আগেই যুদ্ধ শেষ হয়ে যায়। যুদ্ধের পরে তিনি নানা জায়গায় কেরানিগিরি এবং বাড়ি নির্মাণের কাজ করে উপার্জন করতেন।
তাঁর সাহিত্যিক জীবন শুরু হয় কবিতা লিখে।১৯২৪ সালে তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। ১৯৩০ এবং ১৯৪০ এর দশকের শুরুর দিকে চিত্রনাট্য লেখার জন্য হলিউড গিয়েছিলেন। জীবনের বাকি সময় তিনি অক্সফোর্ডেই গল্প ও উপন্যাস লিখে কাটিয়ে দেন।
তিনি মোট ১৯ টি উপন্যাস এবং বহু ছোটগল্প লেখেন। তাঁর বেশ কিছু কাব্যগ্রন্থও আছে। তাঁর সবচেয়ে বিখ্যাত উপন্যাসগুলি হল দ্য সাউন্ড অ্যান্ড দ্য ফিউরি(১৯২৯), অ্যাজ আই লে ডাইং(১৯৩০),লাইট ইন অগাস্ট (১৯৩২), আবসালোম আবসালোম (১৯৩৬), দ্য আনভ্যাংকুইশড(১৯৩৮) , আ ফেবল(১৯৫৪), দ্য রেইডার্স( ১৯৬২) ইত্যাদি। ১৯৪৯ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান।
বিষেন সিং বেদী
(জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৬)
প্রখ্যাত প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট খেলোয়াড়। অমৃতসর শহরে জন্ম তাঁর। ভারত ক্রিকেট দলে তিনি মূলত স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স বোলিং করতেন। ১৯৬৬ থেকে ১৮৭৯ সময়কালে ভারতের পক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও তিনি জাতীয় দলকে ২২ টি টেস্টে নেতৃত্ব দেন। তাঁর সময়কালেই ভারতে স্পিন বোলিং জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। বিশ্বের অন্যতম সেরা লেগ স্পিনার হিসেবে তিনি ৬০ এবং ৭০ এর দশকে ই এস প্রসন্ন, ভাগবত চন্দ্রশেখর ও বেঙ্কটরাঘবনকে নিয়ে ভারতীয় স্পিন জগতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ৬৭ টি টেস্ট ম্যাচে তিনি উইকেট পেয়েছেন ২৬৬ টি। ইনিংসে ৫ উইকেট পেয়েছেন ১৪ বার।
রবার্ট ব্রেসঁ
(জন্ম ২৫ সেপ্টেম্বর, ১৯০১)
■
(প্ৰয়াণ ১৮ ডিসেম্বর ১৯৯৯)
ফরাসি চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি পরিচিত তাঁর তপস্বী -সুলভ চলচ্চিত্র -নির্মাণের জন্যে। সিনেমা-শিল্পে তাঁর অবদান অনেক। যেমন, অপেশাদার অভিনেতা ব্যবহার করা, ইলিপসিস(এটা এমন এক ন্যারেটিভ ডিভাইস যা দিয়ে একটি ঘটনাক্রমের একাধিক অংশ ফেলে দেওয়া যায়,কিন্তু গল্পের কোনও ক্ষতি হয়না। সময় সঙ্কোচনের কারণে এর ব্যবহার ) এর ব্যবহার, স্কোরিং-এর ব্যবহার প্রায় না করা। এই সবকিছুর কারণে তাঁর কাজগুলোকে মিনিম্যালিস্ট ফিল্ম বলা যেতে পারে।
সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রকারদের মধ্যে তাঁকে বিবেচনা করা হয়। ২০১২ সালে করা সাইট অ্যান্ড সাউন্ড পত্রিকার সমালোচকদের পছন্দ নিয়ে করা এক সমীক্ষায় ২৫০ টি সেরা ছবির মধ্যে তাঁর সাতটি ছবি ছিল।
তাঁর আ ম্যান এসকেপড(১৯৫৬),পিকপকেট (১৯৫৯) এবং আও হাসার্ড বালথাজার(১৯৬৬) সেরা ১০০ ছবির মধ্যে স্থান পেয়েছে। মুশেট(১৯৬৭) এবং লা আর্জেন্ট (১৯৮৩) কিন্তু অনেক ভোট পেয়েছিল । গোদার বলেছিলেন– রাশিয়ান উপন্যাস মানে যেমন ডস্টয়েভস্কি, জার্মান সঙ্গীত মানে যেমন মোৎসার্ট, তেমনই ফরাসি সিনেমা মানেই হল রবার্ট ব্রেসঁ।
তাঁর অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে ডায়েরি অফ আ কান্ট্রি প্রিস্ট , দ্য ট্রায়াল অফ জোন অফ আর্ক, ফোর নাইটস অফ আ ড্রিমার ইত্যাদি।