Last Updated on September 13, 2020 1:01 AM by Khabar365Din
সদাশিব রানা ।মুম্বই
কঙ্গনা রানাওয়াত এর সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর তদন্ত দাবি যে আসলে মূল নাটকের পটভূমি কি ছিল মাত্র তা আবারও প্রকাশ্যে এলাে। নরেন্দ্র মােদী মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট পদমর্যাদার মন্ত্রী রামদাস আটওয়ালে রীতিমতাে হুমকি দিলেন, কঙ্গনাকে অপমান করেছে যে মহারাষ্ট্রের শিবসেনা কংগ্রেস এনসিপি জোট সরকার, সেই সরকারের পতন ঘটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিজেপি আবার মহারাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করবে। প্রসঙ্গত গত পরশু দিন কঙ্গনার বাড়িতে গিয়ে তার সঙ্গে দেখা করেছিলেন রামদাস। আজ আবার মহারাষ্ট্রের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল ভগৎ সিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যপালের কাছে। তারপরেই রাতারাতি জেগে উঠলেন মহারাষ্ট্রের পদ্মপাল। কঙ্গনা আগেই দাবি জানিয়েছিলেন, আমার অফিস কেন ভাঙা হলাে মহারাষ্ট্র সরকার জবাব দাও। কঙ্গনা রানাওয়াতের অফিসে বেআইনি অংশ কেন ভাঙলাে বিএমসি? রীতিমতাে নজিরবিহীনভাবে যাবতীয় সাংবিধানিক পদমর্যাদা তুড়ি মেরে উড়িয়ে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্য সচিবের কাছে জবাবদিহি চাইলেন মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারি। সেইসঙ্গে আগামীকাল রাজভবনে কঙ্গনাকে ডেকে পাঠালেন তার দুঃখের কথা শােনার জন্য।
প্রসঙ্গত ভগৎ সিং কোশিয়ারিকে মহারাষ্ট্রের রাজ্যপাল পদে নিয়ােগ করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। স্বাভাবিকভাবেই যেখানে কঙ্গনা রানাওয়াতের মাথায় খােদ অমিত শাহের হাত রয়েছে, সেই কঙ্গনাকে বাঁচাতে এবং তার পাশে দাঁড়িয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়তে তাঁকে তাে হবেই। কয়েক মাস আগে তিনিই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে নির্দেশে রাতারাতি মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়া সত্ত্বেও মধ্যরাতে রাজভবনে বিজেপি নেতাদের চোরের মতাে ডেকে এনে শপথ গ্রহণ করেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সরকারকে। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ দিতে পেরে দেশের সংবিধান এবং রাজ্যপাল পদের চরম অবমাননা ঘটিয়ে পতন হয়েছিল বিজেপির অবৈধ মধ্যরাতের সরকারের। গত কয়েকদিন ধরে বিজেপি কার্যত মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে পারার যে তীব্র অপমান, তা থেকে মুক্তি পেতেই কঙ্গনা রানাওয়াতকেটকিং ডলের মতাে ব্যবহার করে মহারাষ্ট্রের উদ্ধব ঠাকরে সরকারের বিরুদ্ধে জনমত তৈরির প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।