এই করোনা বিধ্বস্ত অর্থনৈতিক দুঃসময়ে মমতা’র উদ্যোগে পুজো হলো, বাংলার গরিবের ঘরে দুটো পয়সা এল

0

Last Updated on October 25, 2020 12:14 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। দুর্গা পুজোর সঙ্গে শুধু দর্শকের সম্পর্কই নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষ উৎসবকে কেন্দ্র করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পুজো বন্ধ করার চক্রান্ত করে সিপিএম রাজ্যের লাখ লাখ মানুষের বেঁচে থাকার রসদ কেড়ে নিতে চেয়েছিল এই সংকটের দিনেও। কিন্তু ছোট,বড়, প্রান্তিক সকল দুর্গা পুজো গুলিকে ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা করে মমতা শুধু দুর্গাপুজোকেই বাঁচালেন তা নয়, লক্ষ লক্ষ মানুষের রোজগারের বন্দোবস্ত করে নিরন্ন, অসহায়, লকডাউনে আর্থিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে যাওয়া মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিলেন। মানুষ যখন বিপন্ন, তখন সহায় হয়ে দাঁড়ালেন মমতা। চেম্বার অফ কমার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের দুর্গা পুজোয় প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়ে থাকে। নির্দিষ্ট একটি পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকেন প্রতিমা শিল্পী, ডেকরেটর, ঢাকি, ইলেকট্রিক কাজের সঙ্গে জড়িত মানুষ, সর্বোপরি ছোট ছোট অসংখ্য বিক্রেতা- কোভিড আবহে এবার সার্বিক বিনিয়োগ অনেক কমে গেলেও, রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় পুজো কমিটি গুলি প্রতিমা শিল্পী থেকে শুরু করে ঢাকি-এদের প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় অর্থ মিটিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছে। ফলেই এই প্রান্তিক মানুষ গুলোর হাতে খানিকটা হলেও অর্থ এসেছে। পুজো সম্ভব হওয়ার কারণেই প্রান্তিক বিক্রেতাদের খানিকটা বিক্রি সম্ভব হয়েছে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা এই মানুষগুলোর আগামী ৬ মাসের বেঁচে থাকার রসদের ব্যবস্থা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সিপিএম চেয়েছিল আদতে গুজরাতি, মাড়োয়ারি বেওসাদারই শুধু বেঁচে থাকবে। বাঙালি প্রান্তিক বিক্রেতাদের মেরে ফেলার সবরকম চক্রান্ত করেছিল সিপিএম। লক্ষ লক্ষ মানুষের ত্রাতা হয়ে দাঁড়ালেন মমতা। প্রশাসন আগেই বলে দিয়েছিল, দুর্গাপুজো হবে স্বাস্থ্যবিধির সমস্ত প্রোটোকল মেনে, কিন্তু তারপরেও বাংলার মানুষকে মারতে কোনও কসুর বাদ রাখেনি সিপিএম। কিন্তু বাংলার মানুষের সঙ্গে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here