Last Updated on September 15, 2020 12:34 AM by Khabar365Din
গৌতম লাহিড়ী। নয়াদিল্লি
চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নির্দেশে, ভারতের রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিদেশমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী, সোনিয়া গান্ধি ও তার পরিবার, সেনাপ্রধান ও ১৫ জন শীর্ষ সেনাকর্তা, মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথম নাম মমতা, শিল্পপতিদের মধ্যে। রতন টাটা ও গৌতম আদানিদের ওপর নজর প্রতিমুহূর্তে নজর রাখছে হাইব্রিড ওয়ার ফেয়ার
নক্ষত্র যুদ্ধ শোনা গিয়েছিল। এবার চিনা লালফৌজ ময়দানে নামালো হাইব্রিড-ওয়ারফেয়ার। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস সংবাদপত্রের অন্তর্তদন্তে প্রকাশ । ভারতের সব রাজনৈতিক নেতা থেকে মুখ্যমন্ত্রী-সেনাপ্রধান সকলেই চিনের কমিউনিস্ট পার্টির নজরবন্দি। বাদ কেউ নয়। রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী থেকে মুখ মন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় পর্যন্ত। এঁদের প্রতিটি মুভমেন্ট- কথাবার্তা অলক্ষে বেজিং-এর লালবাড়িতে আলোকগতির চেয়েও দ্রুতগতিতে সাঁই সাঁই করে পৌঁছে যাচেছ। এতো অসম যুদ্ধ। লোকসভা অধিবেশনের প্রথম দিনেই প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু স্পিকার ওম বিড়লা এককথায় খারিজ করে দিয়েছেন। আলোচনার দাবি। কেন? ভয় পেলেন? আমরা বড়াই করি ডিজিটাল ইন্ডিয়া। স্কিল ইন্ডিয়া। গোয়েন্দারা নাকি সব খবর রাখে নখদর্পণে। চিনের ফেলুদারা তো আমাদের ঘায়েল করে দিলো মগস্তাস্ত্র দিয়ে। এটা লজ্জার নয়? এখন তো আর লাদাখ সীমান্তে চিনারা থাকলে কি তাকলো না- গৌণ হয়ে গিয়েছে। আমাদের দেশের সকলেই যদি দূর থেকে শি জিন পিং-এর হাতে বন্দি হয়ে যাই ,তাহলে সীমান্তে চিনা লালফৌজকে মেরে তাড়িয়ে দেওয়া হাস্যকর। চিনের শেনজেন প্রদেশের জেনহুয়া ইনফর্মেশন টেকনলজি হাই টেক কোম্পানি চিনা সরকার ও কমিউনিস্ট পার্টির হয়েই কাজ করে। এরা ভারতের দশহাজার নামী দামি প্রথম সারির নেতাদের যাবতীয় কর্মপদ্ধতির উপর নজর রেখে চলেছে। নজরে সেনাবাহিনীর জেনারেলরাও। হলিউডের রোমহর্ষক স্পাই থ্রিলারের রিপিট শো করে চলেছে চিনা নক্ষত্র যোদ্ধারা। সংবাদপত্রের তদন্ত যদি সত্য হয়, তাহলে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সোনিয়া গান্ধি ও তাঁর পরিবার সকলেই নজরবন্দি।। মুখ্যমন্ত্রীদের মধ্যে প্রথমেই নাম মমতা বন্দোপাধ্যায়ের। তারপর ক্যাপ্টেন অমরিন্দার সিং, অশোক গেহলট, শিবরাজ সিং চৌহান, উদ্ধব ঠাকরে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের মধ্যে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, রবিশংকর প্রসাদ, স্মৃতি ইরানি, নির্মলা সীতারমণ,পীযুষ গোয়েল। সেনাবাহিনীর মধ্যে সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়াত ও কমপক্ষে পনেরো জন সাবেক সেনা প্রধান,বিচারপতিরা, শিল্পপতিদের মধ্যে রতন টাটা, গৌতম আদানি। আশ্চর্যজনকভাবে আম্বানি পরিবারের নাম নেই। সংবাদপত্রের দাবি তারা গত দুমাস ধরে চিনা কোম্পানির ডেটা বিশ্লেষণ করেছেন। ওই সংস্থা চিনা গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রেখে চলেছে। এদের গবেষকরা ছাড়িয়ে আছে বিশ্বজুড়ে। কেবলমাত্র চিনেই আছে তা নয়। আমেরিকা, ইংল্যান্ড,অস্ট্রেলিয়া, ভারতের বিভিন্ন শহরে রয়েছে এরা। অনেকেই হয়তো জানেন না, তার পাশের বাড়িতেই রয়েছে চিনা গোয়েন্দার গোপন নজরদারিযন্ত্র।ভিয়েতনামের এক সাইবার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ক্রিস্টোফারবালডিং ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস ছাড়াও তথ্য শেয়ার করেছেন অস্ট্রেলিয়ান ফিনানন্সিয়াল রিভিউ, ইটালির ইল ফগলিও, লন্ডনের ডেইলি টেলিগ্রাফের সংগে। গত ১ সেপ্টেম্বর এই কোম্পানির কাছেই মেলে প্রশ্ন পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু কেউ কোনো জবাব দেয়নি। পরে দেখা যায় ওয়েবসাইটটি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। পরে এক সাংবাদিককে পাঠানো হয় তাদের দপ্তরে। সাফ জানিয়ে দেয়, এটা বাণিজ্যিক গোপনীয়তা। তাই তথ্য শেয়ার করা যাবে । দিল্লির চিনা দূতাবাসও কোনো জবাব দিতে চায়নি।