Last Updated on September 15, 2020 9:06 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: নয়াদিল্লি। ভারত এবং চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি এবং উপমহাদেশীয় ভারসাম্য অমান্য করে চীন ভারতীয় ভূখণ্ডের প্রায় ৩৮০০০ বর্গ কিলোমিটার দখল করে রেখেছে। গত কয়েক মাস ধরে লাদাখ এবং অরুণাচল সীমান্তে চিনা সেনার আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে দেশের প্রায় সমস্ত বিরোধী দলের দাবি মেনে আজ সংসদে বিবৃতি দিয়ে এই তথ্য জানালেন দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। প্রসঙ্গত দেশের প্রধান দুই বিরোধীদল কংগ্রেস এবং তৃণমূল গত জুন মাস থেকেই বারবার করে প্রধানমন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর কাছে স্পষ্ট জবাবদিহি চাইছিল চীন ভারতীয় ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে কিনা তা জানানোর জন্য। অবশেষে দেশের সমস্ত বিরোধী দলের দাবি মেনে কিছুটা বাধ্য হয়েই সংসদের বাদল অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে এই তথ্য প্রকাশ করলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
রাজনাথ বলেন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে ঐতিহাসিক তথ্যপ্রমাণের ওপরে ভিত্তি করেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা তৈরি করা হয়েছে। কিন্তু তা মানতে নারাজ চিন। লাদাখে আগেই ৩৮০০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা দখল করে রেখেছে চিন। পাশাপাশি ১৯৬৩ সালে চিন-পাকিস্তান চুক্তি অনুযায়ী বেআইনিভাবে ভারতের ৫১৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছে পাকিস্তান। ভারত শান্তিতে বিশ্বাসী, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানে বিশ্বাসী। কিন্তু বর্তমান যে নিয়ন্ত্রণরেখা তা চিন পার করতে এলে পরিণাম খারাপ হবে। ভারত তার সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করবে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, চিনের আগ্রাসী নীতি সীমান্ত নিয়ে দুদেশের সমঝোতার পরিপন্থী। চিন একতরফাভাবে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালে স্বাক্ষরিত দ্বিপাক্ষিক চুক্তি লঙ্ঘন করে আসছে বলেও জানান তিনি।
তবে এর পরে রাহুল গান্ধী ইন্দোচীন সীমান্ত ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, আজ সংসদে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বিবৃতি থেকে স্পষ্ট যে ভারতীয় ভূখণ্ড চীনের দখলে থাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী দীর্ঘদিন ধরে দেশের মানুষের কাছে ভুয়া তথ্য দিয়ে এসেছেন। দেশের প্রতিটি মানুষ এবং রাজনৈতিক দল ভারতীয় সেনার পাশে আছে এবং থাকবে। কিন্তু আপনি বা আপনার সরকার কবে চীনের দখল থেকে দেশের দখলীকৃত ভূখণ্ড ফিরিয়ে আনার জন্য চেষ্টা করবেন? চিনের নাম করে বিবৃতি দিতে ভয় পাবেন না মিস্টার মোদি।
তবে আজ সংসদে বিবৃতি দেওয়ার সময় রাজনাথ ভারতীয় নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর চিনের বিপুল সংখ্যক সেনা এবং যুদ্ধাস্ত্র মোতায়েন করার কথা স্বীকার করে নিয়েই প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতের হুমকি দিয়ে জানিয়ে দেন ভারতীয় সেনা ও প্রয়োজনে প্রত্যাঘাতের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।