Last Updated on October 10, 2020 9:01 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: মনীশ শুক্লকে খুনের তদন্তে সিআইডি যত অগ্রসর হচ্ছে, ধীরে ধীরে অভিযোগের আঙুল উঠতে শুরু করছে অর্জুন সিং এবং তার ঘনিষ্ঠ বৃত্তে থাকা মাফিয়া নেতাদের দিকেই। তাই প্রথমে পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে মোহাম্মদ খুররম এই খুন করেছে বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হলেও, তদন্তে নেমে সিআইডি জানতে পেরেছে এর পেছনে রয়েছে আন্তঃরাজ্য মাফিয়াদের হাত। সেইসঙ্গে বিহার থেকে 6 প্রশিক্ষিত সুপারি কিলার আনার পেছনে অর্জুন ঘনিষ্ঠ একাধিক বিজেপি নেতার যোগসাজশ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে। তাই সিআইডি তদন্ত কার্যত আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন অর্জুন সিং। আগাম সাফাই দিতে আজ তিনি দাবি করেন, মণীশ খুনে সব চুনোপুঁটিদের ধরছে পুলিশ। আসল ষড়যন্ত্রকারীদের নাম এফআইআর-এ থাকলেও তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে মণীশকে খুন করেছে পুলিশ। কিন্তু কেসটাকে ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। সিআইডির মধ্যে চ্যাটিং হচ্ছে। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে তদন্তের নামে। যদিও প্রথম থেকেই এই ঘটনায় তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া মনীশকে খুনের পেছনে অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপির হাত রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিন অর্জুনের অভিযোগের পরে ফিরহাদ হাকিম বলেন, অর্জুনের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। সিআইডি কারও প্রতি ব্যক্তিগত বিদ্বেষ থেকে কোনও তদন্ত করে না। অর্জুনের এত আতঙ্কিত হওয়ার কী আছে? ডাল মে কুছ কালা হ্যায়?
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এলাকায় অসংখ্য খুন এবং বোমাবাজির অভিযোগে এমনিতেই মামলা চলছে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এর বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমে সিআইডির তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন বিহার থেকে আসা সুপারি কিলার অর্জুন সিং এর সাংসদ অফিসে গিয়েছিল। এই তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার পর থেকেই কার্যত আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অর্জুন। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর দশেক আগে জেলে সুবোধের সঙ্গে পরিচয় হয় নাসির খানের। মণীশ খুনের বরাত সুবোধকেই দেয় নাসির। এর পর বিহার থেকে ভাড়াটে খুনির ব্যবস্থা করে সে। নাসিরের সঙ্গে অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ কোন নেতা কথা বলে খুনের সুপারি দিয়েছিল বলে এখনো পর্যন্ত তদন্তে জানা গিয়েছে।