Last Updated on September 14, 2020 10:09 PM by Khabar365Din
সদাশিব রানা | মুম্বই
ক্লসট্রোফোবিয়া বদ্ধ জায়গা সম্পর্কে একধরণের মানসিক ভীতি। মানুষ যেসব ফোভিয়ায় গেভাগে, তার ১১৮ ফোভিয়ার মধ্যে এটি অন্যতম। এই ফো্বিয়ায় যারা ভােগেন তারা বিমানে বা থিয়েটার হলে যেতে অস্বস্তিবােধ করেন।
রিয়া মিডিয়া ইন্টারভিউ এবং পুলিশকে বলেছিলেন, সুশান্ত ক্লসট্রোফোবিয়ার রােগী, সে বিমান সফরের সময় সবসময় মােডাফিনিল ট্যাবলেট খেতেন।।
মােডাফিনিল সাধারণত নিদ্রাজনিত নানারকম অসুখের চিকিৎসার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এটি ঘুমের ওষুধ নয়। উত্তেজিত নার্ভকে শিথিল রাখে।
রিয়া এই তথ্য প্রকাশ করার পরেই সুশান্ত’র প্রাক্তন বান্ধবী অঙ্কিতা তীব্র আক্রমণ করেন, রিয়া মিথ্যা কথা বলছেন। সুশান্ত’র এমন কোনও রােগ ছিল না।
অঙ্কিতার কথা শােনা মাত্র নেচে ওঠে সােশাল মিডিয়ার গুজব নির্ভর নেটিজেনরা। তড়িঘড়ি তারা রিয়াকে আক্রমণ করে পােস্ট করতে শুরু করে, সুবিধা হল ঘটনার সত্যতা বিচারের দায় সােশাল মিডিয়ার নেই। সুযােগটি লুফে নেয় কিছু মিডিয়া এবং তারও রিয়াকে আক্রমণ করতে শুরু করে।
বাস্তব তথ্য হল, ২০১৫ সালে জি কাফে চ্যানেলে সুশান্ত এক সাক্ষাৎকারে বলেন,
১. আমি ক্লসট্রোফোবিয়ার রােগী। বিমান সফর করতে অসুবিধা হয়। এই অসুখের জন্য আমি নিয়মিত ওষুধ খাই।
২. আমি অনিদ্রা রােগে ভুগি। আমার ইনসমনিয়া আছে, রাতে ২ ঘণ্টার বেশি ঘুমােতে পারি না। ওষুধ খেয়ে ঘুমােতে হয়।
এই সাক্ষাৎকারটি রেকর্ডেড, এর ভিডিও ফুটেজ আছে।
রিয়ার তথ্য যে সত্যি, তা প্রমাণিত হওয়ার পরে সােশাল মিডিয়ার স্বনিযুক্ত বিচারকগণ এবার কি ক্ষমা চাইবেন?