Last Updated on October 2, 2020 3:17 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন: হাথরস। আবারও তীব্র অসহিষ্ণুতার নিদর্শন রাখল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। আজ সকালে তৃণমূলের তরফে রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দলকে হাথরস গ্রামের মাত্র দেড় কিলোমিটার আগেই রীতিমতো লাঠিচার্জ করে হিটলারি কায়দায় রুখে দেওয়া হল। পাশাপাশি নির্যাতিতার পরিবার দেশের কোন সংবাদমাধ্যম অথবা বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলতে না পারে এবং নিজেদের অভিযোগ জানাতে না পারে, তার জন্য আজ সকালেই সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী পাঠিয়ে কার্যত বন্দুকের নলের ডগায় নির্যাতিতার ভাই, মা-সহ পরিবারের বাকি সদস্যদের মোবাইল ফোন কেড়ে নিল যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন।
মমতা’র নির্দেশে মৃত নির্যাতিতার পরিবারের লোকজনের সঙ্গে দেখা করতে, তাঁদের কথা শুনতে আজ সকালে সেখানে পৌঁছে যান সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, মমতাবালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মণ্ডল। ডেরেক ও ব্রায়েনের বক্তব্য না শুনেই তাঁকে কার্যত ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয় উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। সাংসদ মমতা বালা ঠাকুর এবং প্রতিমা মন্ডলকে কোন রকম মহিলা পুলিশের উপস্থিতি ছাড়াই ধাক্কা দিয়ে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয় এদিন। পরে প্রতিমা মন্ডল বলেন বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের দলিত বা মেয়েদের কোনো নিরাপত্তা নেই, তা প্রমাণ হয়ে গেল আমাদের উপরে যেভাবে মহিলা পুলিশ ছাড়াই শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হলো তা থেকে।
তৃণমূল সাংসদ প্রতিনিধি দলের তরফে অনুরোধ করা হয় তারা শান্তিপূর্ণভাবে নির্যাতিতার গ্রামে গিয়ে তার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে সমবেদনা জানাতে চান। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাদের শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে আটকে দেওয়া হয় বেশ কিছুটা দূরে। ডেরেক ও’ব্রায়েন অনুরোধ করেন যাতে তাঁদের দুই মহিলা প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সে কথাও কানে তোলেনি উত্তরপ্রদেশের পুলিশ।
কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই আমরা এসেছি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় পীড়িত মানুষের পাশে দাঁড়ান। একটা মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করে বাবা মায়ের অনুমতি না নিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে এখানে। এটা অন্যায়।