আজব রাজার একুশে আইন, 55 বছর বয়সী অথবা 30 বছরের বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে অবসরের নির্দেশিকা

0

Last Updated on August 31, 2020 1:28 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন: নয়াদিল্লি। ক্ষমতায় আসার আগে বছরের দু কোটি নতুন চাকরি দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেও 6 বছর দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকা সত্বেও আজও পূরণ হয়নি নরেন্দ্র মোদির ঘোষিত সেই লক্ষ্যমাত্রা। তার মধ্যেই আজ কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে নয়া নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দেওয়া হল 30 বছরের বেশি কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে কর্মরত অথবা 55 বছর বয়সী কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে অবসর নিতে হবে। একই সঙ্গে এই মুহূর্তে গোটা দেশে সমস্ত কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে 55 বছরের ঊর্ধ্বে যত কর্মী রয়েছেন, তাদের পাশাপাশি যারা 30 বছরের বেশি সময় ধরে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরিতে কর্মরত রয়েছেন তাদের জন্য আলাদা রেজিষ্ট্রার বানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে শুধুই বয়স নয়, একেবারে কর্পোরেট হাউসের ফর্মুলায় রিভিউ কমিটি তৈরি করে প্রতিটি কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীর পারফরম্যান্স গ্রাফ বিচার করে দেখা হবে তিনি চাকরিতে টিকে থাকার যোগ্য কিনা। এমনকি পাঁচ বছরের মধ্যে কোন পদে প্রমোশন পাওয়ার পরে সংশ্লিষ্ট পদে তার পারফরম্যান্স ভালো না হলেও বাধ্য করা হতে পারে অবসর নেওয়ার জন্য। রিভিউ কমিটি যদি কোন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে যথেষ্ট কর্মোপযোগী বলে মনে না করে তাহলেও তাকে অবসর নিতে বাধ্য করা হবে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে এদিনের নির্দেশিকাতে।
এই নির্দেশিকার ফলে গোটা দেশজুড়ে কয়েক লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী অবসর নিতে বাধ্য হবেন চলতি বছরের মধ্যেই। করোনা সংক্রমণ এবং লকডাউন এর জেরে দেশজুড়ে ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব মধ্যে এই বাধ্যতামূলক অবসরের ফলে কর্মহীন হবেন বহু কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী। যদিও চাকরি ছাঁটাইয়ের কথা না বলে গোটা বিষয়টিকেই নোট বাতিলের মত জাতীয় স্বার্থ বলে দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারি নির্দেশিকায়।
কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি মানেই যে স্থায়ী চাকরি নয়, তার আঁচ আগেই দিয়েছিল কেন্দ্রের মোদি সরকার। চলতি সপ্তাহেই এনডিএ জোট শাসিত বিহারেও একইভাবে নির্দেশিকা জারি করে 50 এবং 55 বছরের ঊর্ধ্বে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আলাদা তালিকা তৈরি করে তাদের আগাম অবসর নিতে বাধ্য করার জন্য প্রাথমিকভাবে নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here