সুন্দরবনের বাঘ জঙ্গলেই আটকাতে আন্তর্জাতিক কর্মসূচি, ৬২ কিমি জুড়ে জাপানি জাল

0

Last Updated on January 5, 2022 1:08 AM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। কুলতলী,  চরঘেরী  ও কুমির মারিতে পরপর বাঘ ঢোকার পর গ্রামের মানুষকে সুরক্ষিত রাখতে জাল দিয়ে গ্রাম ঘেরার মতো  বড়  সিদ্ধান্ত নিলো বনদফতর।  জাপানের জিকা’র  (জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন এজেন্সী) সহযোগিতাতে এই বিরাট প্রকল্প করতে চলেছে বন দফতর।  বন দফতর সূত্রে জানা গেছে পরপর গ্রামে বাঘ ঢোকার পর তা আটকানোর একটি উপায় খুঁজছিলো সরকার।  দফতরের সব আধিকরিকদের সঙ্গে বৈঠকের পরই বিপজ্জনক গ্রামগুলিতে জাল লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  প্রায় ৬২ কিলোমিটার লম্বা এই মোটা বাঘ রোধী এই জাল লাগানো হয়।

বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প জিকাতে পাঠানো হয়েচ্ছে।  আগামী ৩ থেকে ৪ মাসের মধ্যে টাকা পেলে এই কাজ শুরু করে দেওয়া যাবে।  তিনি আরও জানিয়েছেন এইধরণের উদ্যোগ আগে কোনোদিন নেওয়া হয়নি।  বনদফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন এই এই জাল লাগানোতে বিশেষজ্ঞদের অভিমত নিয়েই কাজ শুরু হবে।  যেসব জায়গায় ম্যান এনিম্যাল কনফ্লিক্ট বা বাঘে মানুষের সংঘাত  বেশি হয়েছে বা হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেসব জায়গাতেই এই কাজ করা হবে।  প্রাথমিক পরিকল্পনা  মতো এই জাল লাগানো হবে অনেকটা আন্তর্জাতিক সীমান্তের জালের মতো।  জাল লাগানোর মাঝে মাঝে থাকবে নদীতে যাওয়ার গেট।  সেসব গেটের নিয়ন্ত্রণ থাকবে রেঞ্জের বা বিট আধিকারিকদের ওপর।  ফলে গ্রামবাসীরা যেমন সুবিধামতো বাইরে যেতে পারবেন, নদী যেমন ব্যবহার করতে পারবে তেমনি বাঘ  নদীতে জল খেতে আসতে পারবে কিন্তু গ্রামে ঢুকতে পারবে না।  ফলে গ্রামবাসীরা অনেকটাই নিরাপদে থাকতে পারবে।  তবে জাল কত মোটা হবে ও প্রযুক্তি ঠিক কিহবে তা নিয়ে এখনো খুঁটিনাটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।  প্রযুক্তিবিদ ও পরিবেশবিদদের সঙ্গে কথা বলেই এই সব চূড়ান্ত করা হবে।  তারপরেই এই প্রকল্পের নীলনকশা চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।  এই নীল নকশাই ডিজাইনই হবে এই প্রকল্পনা কেন্দ্রবিন্দু।  এর জন্য প্রাথমিক সমীক্ষায় শুরু করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here