Last Updated on September 6, 2021 12:07 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। আমার বিরুদ্ধে যদি কোনও প্রমাণ কোনও কেন্দ্রীয় সংস্থা জনসমক্ষে আনতে পারে তাহলে আমার বিরুদ্ধে ইডি-সিবিআই লাগানোর দরকার নেই। কলকাতার কেসে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে। যে কোনও তদন্তের মুখোমুখি হতে প্রস্তুত। কলকাতা থেকে দিল্লি রওনা হওয়ার সময় এভাবেই কেন্দ্রের ভাজপা সরকার ও ভাজপা নিয়ন্ত্রিত কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কয়লা কান্ডের তদন্তে নেমে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আগামীকাল দিল্লিতে তলব করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ বিকেলে দিল্লি রওনা হয়ে যান তিনি। তবে সম্প্রতি নারদা কান্ডের তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি আদালতে চার্জশিট পেশ করেছে, সেখানে ভাজপা নেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে থাকা সত্ত্বেও চার্জশিটে নেই কেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন অভিষেক। এই প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় এজেন্সির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অভিষেক বলেন, যাদেরকে টাকা নিতে দেখা গেল, তাদের ক্ষেত্রে কী ইডি-সিবিআইয়ের চোখে ছানি পড়ে! শুধুই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা।
এর পাশাপাশি একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বেরিয়ে বিভিন্ন জনসভায় দাঁড়িয়ে অভিষেক নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের উদ্দেশ্যে যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন সেই চ্যালেঞ্জের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, আমি আগেও বিভিন্ন জনসভা থেকে যে কথা বলেছি আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ থাকলে তা আগে প্রমাণ করুন। এই যে এত বড় স্ক্যাম এর কথা বলা হচ্ছে যেখানে নাকি ১০০ কোটি, ২০০ কোটি, এমনকি হাজার হাজার কোটি টাকার জড়িয়ে থাকার কথা বলা হচ্ছে, আমি বলছি এত টাকার দরকার নেই। ১০ পয়সার নয়ছয় করেছি প্রমাণ করতে পারলে ইডি, সিবিআই দরকার হবে না, ফাঁসির মঞ্চে প্রকাশ্যে প্রাণ দেব। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইডি আমাকে দিল্লিতে ডেকে পাঠিয়েছে! আমি দিল্লি যাচ্ছি। এর পাশাপাশি সরাসরি কেন্দ্রের ভাজপা সরকার এবং নরেন্দ্র মোদী জমানায় দেশের কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলোর পক্ষপাতিত্বের প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, যে কোনও চ্যানেলে আমার সঙ্গে বিতর্কে বসুন বিজেপি-র যে কোনও নেতা। গত ৫ বছরে কোন কেন্দ্রীয় সংস্থা কেমন কাজ করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক হোক। আমি যদি বিজেপি-র স্বরূপ উন্মোচন না করতে পারি, রাজনীতি ছেড়ে দেব। প্রসঙ্গত এই একই তদন্তের প্রেক্ষিতে গত ১ সেপ্টেম্বর অভিষেকের স্ত্রী রুজিরাকেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তবে করোনা আবহে নিজের ২ শিশুসন্তানের সুরক্ষার কথা তুলে ধরে হাজিরা দেননি রুজিরা। মামলার জুরিসডিকশন তুলে ধরে কলকাতায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন রুজিরা।