0

Last Updated on September 22, 2023 9:11 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি।
যদি আসন সমঝোতা হয়, তাহলে সেটা কংগ্রেসের সঙ্গেই হবে, বামেদের সঙ্গে কোনও সমঝোতা নয়৷ আসন সমঝোতা নিয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ড আলোচনা চাইলে কথা হবে, আমার কোনও ছুঁৎমার্গ নেই৷ এভাবেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে ভাজপা বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের পক্ষ থেকে বাংলায় আসন সংখ্যা কোন ফর্মূলায় এগোবে তা স্পষ্ট করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পাশাপাশি ভাজপা বিরোধী মহাজোট ইন্ডিয়ার কোঅর্ডিনেশন কমিটির অন্যতম সদস্য অভিষেক। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে তাঁর ইন্ডিয়া জোটের কর্মসূচি নিয়েই আলোচনা হয়েছে বলে জানান অভিষেক।
আজ দিল্লিতে লোকসভা নির্বাচনের আগে আসন সমঝোতা প্রসঙ্গে বাংলায় কংগ্রেস এবং তৃণমূলের মধ্যে আসন বন্টন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিষেক বলেন, বাংলায় আসন বন্টন নিয়ে এখনো পর্যন্ত কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি। আলোচনা হলে নিশ্চয়ই জানাবো।

তবে গত সপ্তাহে দিল্লিতে শরদ পাওয়ারের বাসভবনে ইন্ডিয়া জোটের কোঅর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠকে সিপিএম কেন কোন প্রতিনিধি পাঠায়নি, সেই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে অভিষেকের বক্তব্য, দিল্লিতে ইন্ডিয়া জোটের সমন্বয় কমিটির বৈঠকে আমি উপস্থিত ছিলাম না৷ সিপিএম কেন ছিল না, সেটা তাদের বিষয়।

ইন্ডিয়া জোটের জয় নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ

আগামী লোকসভা নির্বাচনে ভাজপা কে হারানোর জন্য ইন্ডিয়া জোটের সাফল্য নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, আমার দৃঢ় ধারণা বিজেপি লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে নিয়ে আসবে৷ ইতিমধ্যেই কয়েকটি বুলেট প্রয়োগ করেছে বিজেপি, এর মধ্যে চন্দ্রযান, জি-২০, মহিলা সংরক্ষণ বিল, রাম মন্দির আছে৷ নিরঙ্কুশ আধিপত্য বিস্তার করতে গেলে বিজেপিকে নির্বাচন এগিয়ে আনতেই হবে৷

বিজেপির অনেকে যোগ দিতে লাইন দিয়েছে

২০২৪ পি লোকসভা নির্বাচনের এখনো বেশ কিছুটা দেরি থাকলেও ইতিমধ্যেই বাংলায় বহু ভাজপা নেতা তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য যোগাযোগ শুরু করেছে বলে অভিষেক জানিয়ে দেন, ২০২১ সালে বিজেপি যে ভুল করেছে, তা তৃণমূল করবে না৷ বিজেপির অনেকেই যোগদানের লাইনে আছে, নিয়মিত আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে৷ এমন কোনও কাজ করা হবে না যাতে আমাদের দলের কর্মীদের ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে৷

কেন্দ্রীয় এজেন্সির হেনস্থা প্রসঙ্গে

ভাজপাশাসিত কেন্দ্রীয় সরকার বারে বারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি পাঠিয়ে অভিষেক এবং তার পরিবারকে হেনস্থা করছে বলে যে অভিযোগ তিনি করেছিলেন সেই প্রসঙ্গে বলেন, ২০২০ থেকে ২০২৩- আমাকে এবং আমার স্ত্রীকে মোট ৯ বার ডেকেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ আমাকে ৫ বার, আমার স্ত্রীকে ৪ বার৷ আমার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে, ওনারা ওনাদের কাজ করেছেন৷ যা করা হচ্ছে সবই উপরের নির্দেশে৷ ওদের উদ্দেশ্য একটাই, আমাকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে সরিয়ে রাখা৷ আমি সেটা হতে দেব না৷ আমি আমার কাজ করে যাবো৷ আমার আইনজীবীরা আইনি দিকটা দেখছেন৷