Last Updated on August 3, 2023 7:56 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। চার দিন ধরে জ্বলছে হরিয়ানা, অথচ যাবতীয় অশান্তির মাস্টারমাইন্ড বজরং নেতা মনু মানেসরকে নাকি খুঁজেই পাচ্ছে না মনোহর লাল খাট্টারের পুলিশ ! নুহ্ এবং গুরুগ্রাম থেকে যে দাঙ্গা শুরু হয়েছিল।তা এখন গোটা হরিয়ানায় কার্যত ছড়িয়ে পড়েছে। ২১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা যাচ্ছে না। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত একের পর এক এলাকায় হামলা হচ্ছে , মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে , সম্পত্তি হানি হচ্ছে অথচ মনুর বিষয়ে নিষ্ক্রিয় হরিয়ানা পুলিশ। কে এই মনু মানেসর ? চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ভিওয়ানিতে দুই মুসলিম যুবককে পিটিয়ে গলা কেটে খুন করা হয়। তখনই প্রথম প্রচারে আসে বজরং নেতা মনুর নাম। অভিযোগ, মনুর নেতৃত্বে এই হামলা সংগঠিত হয়। ফেব্রুয়ারির সেই ঘটনায় মনু এবং আরও ২০ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছিল।
অভিযোগ, দুই মুসলিম যুবককে রাজস্থান থেকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছিল। একটি পুড়ে যাওয়া গাড়ি থেকে ১৬ ফেব্রুয়ারি সেই দুই মুসলিম যুবকের দেহ উদ্ধার করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মনু। আশ্চর্যের বিষয় হল এত বড় ঘটনা যিনি ঘটালেন সেই মনু কিন্তু পুলিশের নাগালের বাইরেই থেকে যান। এরপর জুলাইয়ের প্রথম দিকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে মুসলিমদের টার্গেট করে একের পর এক বিতর্কিত ভিডিও পোস্ট করে মনু। যার জেরে হরিয়ানা জুড়ে সাম্প্রদায়িক টেনসনের পরিস্থিতি তৈরী হয়। অথচ তখনও পুলিশ ছিল নিষ্ক্রিয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে যেখানে মনু নিজে দাবি করে যে সে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উদ্যোগে ব্রিজ মণ্ডল জলাভিষেক যাত্রায় সামিল থাকবে। অভিযোগ, এই মিছিল থেকেই সংখ্যালঘু এলাকায় হামলা চালানো হয়।
যার জেরে এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরী হয়। প্রশ্ন উঠছে, যার বিরুদ্ধে খুন, সম্পত্তিহানী, সাম্প্রদায়িক উস্কানি, দাঙ্গা লাগানোর মত ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ রয়েছে কেন তাকে ধরতে এত অনীহা খাট্টার সরকারের। রাজনৈতিক মহলের মতে, এর পেছনে রয়েছে ২০২৪ – এর সমীকরণ। মনু বজরং দলের এতটাই প্রভাবশালী নেতা যে তার প্রভাব হরিয়ানা ছাড়াও দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ সহ গো বলয়ের প্রায় সব রাজ্যে রয়েছে। তাই তাকে ধরলে বজরং চটবে, তাই সরকার পুলিশ হাত গুটিয়ে বসে। তাছাড়া, হরিয়ানার যা রাজনৈতিক সমীকরণ তাতে ভাজপার হাল ভালো নয়। তাই দাঙ্গা পাকিয়ে বিভাজনের রাজনীতি করতে পারলে তবেই কিছুটা লাভ হতে পারে। তাই সরকারি মদতেই দাঙ্গায় ইন্ধন জোগানো হচ্ছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের।