JU Student Death: মাস্টার মাইন্ড সৌরভের কীর্তি ছাত্রর নিচে পড়ার পরেই ডিলিট হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ, জয়দীপের ফের পুলিশ হেফাজত

0

Last Updated on August 25, 2023 7:02 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্যেই পুলিশের জালে ধরা পড়েছে ১৪ জন পড়ুয়া। সকলের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করে ফরেনসিক পাঠানো হয়। অন্যতম মূল অভিযুক্ত সৌরভ চৌধুরী ও বাকিদের মোবাইল থেকে মিলেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সূত্রের খবর, ৯ আগস্ট রাতে ওই ছাত্র মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় জিবি মিটিং করে অভিযুক্ত ছাত্ররা। এরপরে ছাত্রকে নার্সিংহোমে ভর্তি করার পর হস্টেলে এসে আরও ৩ বার জিবি করা হয়। ওই জিবি মিটিং হওয়ার পরই জেইউ এমএইচ নামে একটি হোয়্যাটস অ্যাপ গ্র‍ুপও ডিলিট করে দেওয়া হয়। যার অ্যাডমিন ছিল সৌরভ। গ্র‍ুপে সৌরভের খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাত্র ছিল। তবে সদস্য সংখ্যা বেশি ছিল না। ঘটনার দিন জিবিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই গ্র‍ুপটিকে ডিলিট করা হবে। পুলিশের অনুমান, ছাত্র হত্যা নিয়ে ওই গ্রুপে এমন কিছু তথ্য থাকার কারনেই ৯ আগস্ট রাতের সৌরভ তড়িঘড়ি করে ওই গ্রুপ করার কথা বলে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটই নয়, বেশ কিছু ছবিও মোবাইলে ছিল। যা পরে ডিলিট করে ফেলা হয়। অন্যদিকে অভিযুক্তদের মোবাইল থেকে হস্টেলে গাঁজা চাষ করার প্রমাণও মিলেছে। গাঁজা গাছের বেশ কিছু ছবিও পাওয়া গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তদন্তকারীরা।এদিকে, বৃহস্পতিবারও হস্টেলের ৫ পড়ুয়াকে থানায় ডেকে পাঠানো হয়। দুপুর থেকেই তাদের দফায় দাফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রথম বর্ষের ছাত্র অর্পণ মাঝিকেও এদিন থানায় ডেকে পাঠানো হয়। অর্পণ মাঝি জানান, ঢোকার তিন দিনের মধ্যেই হস্টেল ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলাম রাগিং এর জন্য। আমার কাছ থেকে পুলিশ জানতে চায়, কিভাবে আমাদের রাগিং করা হত? কারা রাগিং করত?

তদন্তে অসহযোগিতা, জয়দীপের ফের পুলিশ হেফাজত

তদন্তে অসহযোগিতা করছে ধৃত জয়দীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে এমনটাই দাবি করল পুলিশ। তাই জয়দীপ কে আরও বেশি সময় ধরে জেরা করা দরকার বলে নিজেদের হেফাজতে চাইল পুলিশ ।অন্যদিকে জয়দীপের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শুনে ফের ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতেই পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা অনার্সের প্রথম বর্ষের পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কলকাতা পুলিশের হাতে ইতিমধ্যেই ১৩ জন গ্রেফতার হয়েছেন।এদের মধ্যে ১২ জনের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু হলেও জয়দীপের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগ উঠেছে ।তদন্তে জয়দীপ একেবারেই সহযোগিতা করছে না বলে অভিযোগ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।ঘটনার দিন কার কথায় হস্টেলের মেন গেট বন্ধ করে দিয়েছিল জয়দীপ , এছাড়াও গোটা ঘটনায় তাঁর কী ভূমিকা রয়েছে এবং ঘটনার দিন ওই পড়ুয়ার সঙ্গে কী কী অত্যাচার হয়েছে, সেই বিষয়ে এখনো সে কোনো উত্তর দিচ্ছে না বলেই আদালতে জানিয়েছে পুলিশ।