Last Updated on April 24, 2023 7:51 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। রাজনীতির আকচা আকচিতেই কি প্রাণ যাচ্ছে কুনোর চিতাদের ! রবিবার আফ্রিকান চিতা উদয়ের আকষ্মিক মৃত্যুর পর এই প্রশ্ন তুলছেন বাঘ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। রাজনীতি কি ভাবে জড়িয়ে যাচ্ছে চিতা মৃত্যুর সঙ্গে ? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমত মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ২০ টি চিতা রাখার মত পরিকাঠামো নেই। সাকুল্যে সেখানে ৮-১০ টি চিতা রাখা যায়। সেখানে প্রায় দ্বিগুণ চিতা রাখা হয়েছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে একের পর এক চিতা সংক্রমিত হচ্ছে। কয়েকদিন আগে চিতা সাসা কিডনির সংক্রমণে মারা গিয়েছিল। উদয়ের মৃত্যুর কারণ জানা না গেলেও সংক্রমণ যে হয়েছে তা নিশ্চিত।
ফলে রাজনীতির লাভ দেখতে গিয়ে চিতাদের মৃত্যুমুখে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, কুনোর গা ঘেঁষে রয়েছে রাজস্থানের মুকুন্দরার জঙ্গল। বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব ছিল চিতার সংখ্যা যদি বাড়াতেই হয় এবং তাদের যদি নিরাপদে রাখতে হয় তবে এই জঙ্গলের একাংশকে চিতা প্রকল্পের আওতায় আনা হোক। কিন্তু রাজস্থানে কংগ্রেস সরকার। বিশেষজ্ঞদের এই মত মানলে অনু্রোধ করতে হবে রাজস্থান সরকারকে তা করতে নারাজ ভাজপা শাসিত মধ্যপ্রদেশ সরকার। কেন্দ্রের মোদি সরকার হাত তুলে নিয়েছে। ফলে চিতার প্রাণ যায় যাক, রাজনীতিতে মান না যায় ! ক’দিন আগে যজুবেন্দ্র ঝালা, যাঁর তত্ত্বাবধানে চিতা পুনরুজ্জীবন প্রকল্প শুরু হয়েছিল তাকেই সরিয়ে দেওয়া হয়। ঝালা জানান, কুনোর পরিকাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তাকে সরানো হয়। পরিকাঠামো যে নেই তা পর পর এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় চিতার মৃত্যুতেই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে।