Last Updated on February 15, 2022 1:56 AM by Khabar365Din
৩৬৫দিন। চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা। এই স্লোগান শুনেই এবার কলেজ পড়ুয়াদের নিগ্রহ করার চেষ্টা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। গাড়ি থেকে নেমে আশুতোষ কলেজের (Asutosh College) পড়ুয়াদের মারতে এগিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। এমনকি পুলিশকেও রেয়াত করলেন না। ভবানীপুর থানার এক পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা মারেন। ঘটনার সূত্রপাত সোমবার দুপুরে। আশুতোষ কলেজ মোড়ে পুলওয়ামা দিবস উপলক্ষে শ্যামাপ্রসাদ অনুশীলন কেন্দ্র পরিচালনা সমিতির একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দেন শুভেন্দু ।অভিযোগ, এদিন ওই অনুষ্ঠান থেকে বেরোনোর পর শুভেন্দু আশুতোষ কলেজের পড়ুয়াদের দেখে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উস্কানি দেন। তারপরই ১০ থেকে ১৫ জন ছাত্র-ছাত্রী মিলে শুভেন্দুকে ঘিরে স্লোগান দিতে থাকে। পড়ুয়াদের মুখে ‘চোর চোর চোরটা শিশিরবাবুর ছেলেটা’ এই স্লোগান শুনতে পেয়েই বেজায় চটে যান বিরোধী দলনেতা। গাড়ি থেকে নেমে পড়ে কলেজ পড়ুয়াদের দিকে তেড়ে যান। পুলিশ বাধা দিলেও তাদের ধাক্কা মেরে ঠেলে বিক্ষোভরত ছাত্র ছাত্রীদের মারতে এগিয়ে যান। বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের আরো উস্কে দিতে শুভেন্দু বলতে থাকেন, কাকে বলছ এটা? কাকে বলছ? এমন অবস্থায় বিরোধী দলনেতাকে আটকাতে গেলে কর্তব্যরত ভবানীপুর থানার এক পুলিশ অফিসারকে ধাক্কা দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে জোর করে গাড়িতে তুলে দেন। গাড়িতে ওঠার পরও গাড়ির জানলা থেকেও শুভেন্দু ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে ক্রমাগত মন্তব্য করতে থাকেন। ঘটনার পরই নিজের পিঠ বাঁচাতে শুভেন্দু টুইট করে দাবি করেন, পুলওয়ামা দিবসে শহীদ জাওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে এক অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলাম ভবানীপুর থানার অন্তর্গত আশুতোষ কলেজ মোড়ে। পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃংখলার এমন তলানিতে পৌঁছেছে মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভা এলাকার উনার পোশিত তৃণমূলী গুন্ডাদের আমাকে শারীরিক নিগ্রহ করতে আসে। কিন্তু শুভেন্দুর এই দাবির পরই তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে, গোটা ঘটনার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে । ভিডিও দেখলেই বোঝা যাচ্ছে কে গাড়ি থেকে নেমে কলেজ ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক নিগ্রহ করার চেষ্টা করেছিল। ছাত্রছাত্রীরা শুধু স্লোগান দিয়েছে,তাতেই মারতে এগিয়ে গেল। আসলে শুভেন্দু অধিকারী পরিকল্পনা করে ছাত্রছাত্রীদের মারার ছক কষে ছিলেন। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষ বলেন, ছাত্ররা হয়তো একটা বিক্ষোভ দেখিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কে ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ করে চলেছেন। এরা আবার সহিষ্ণুতার কথা বলছে।ছাত্রদের দিকে তেড়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে ঘুরছে আর বলছে হালুম, আসলে এরা ম্যাও।ঘটনাস্থলে হাজির থাকা কলেজের এক ছাত্র বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এতটা রেগে গেলেন কেন ?আমরা তো শুধু স্লোগান দিয়েছি। শুভন্দুবাবু তো আমাদের মারতে এসেছিলেন। উনি চোর বলেই কি চোর কথাটায় এত রাগলেন?তাই মুখ লুকিয়ে পালিয়ে গেলেন।প্রসঙ্গত, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির টিকিটের নন্দীগ্রাম আসন থেকে গত বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার সময় থেকেই শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ‘চোর চোর চোরটা, শিশিরবাবুর ছেলেটা’ এই স্লোগান উঠতে থাকে। এই স্লোগানের মুখে পড়ে এর আগেও শুভেন্দু কে আক্রমণমুখী হয়ে উঠতে দেখা গিয়েছিল।