Jadavpur University: হঠাৎ ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিয়ে তিন নির্দেশিকা, আগেও ছিল অবধারিতভাবে এবারও মানবে না পড়ুয়ারা

0

Last Updated on August 18, 2023 5:48 PM by Khabar365Din

৩৬৫দিন। প্রথম বর্ষের ছাত্র খুনের পর প্রবল চাপের মুখে পড়ে এবার ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিয়ে পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। যদিও ক্যাম্পাসের সুরক্ষা নিয়ে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, সেই নির্দেশিকা কোনো নতুন নয়। ক্যাম্পাসে নেশা করার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ, আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক ও গেটে সিসিটিভি বসানো এসব নিয়ম আগে থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি ছিল। যদিও বৃহস্পতিবার রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু রায় জানিয়েছেন, রাত ৮টা থেকে সকাল ৭ টা অব্দি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢুকতে গেলে লাগবে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেওয়া আইডি কার্ড। বাইক কিংবা গাড়ি ঢোকার ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দিষ্ট স্টিকার ছাড়া গাড়ি ঢুকতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সকাল ৭ টার পর থেকে রাত ৮ পর্যন্ত এই দীর্ঘ ১৩ ঘণ্টা সময় কেন আইডি কার্ড দেখা হবে না? তাহলে কি বহিরাগত কিংবা প্রাক্তনীরা শুধুমাত্র রাতেই হোস্টেল কিংবা ক্যাম্পাসে ঢোকে? সকালে ঢুকলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কি করবে? যদিও এর কোনো জবাব দিতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

দ্বিতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের জারি করা নিয়মে বলা হয়েছে, কোনও প্রকার মদ কিংবা মাদকজাত দ্রব্য সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে কোনো পড়ুয়া ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যদিও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে নেশা করা নতুন কিছু নয়। বহু বছর ধরেই এই বিশ্ববিদ্যালয় নেশার আঁতুড় হিসেবেই পরিচিত। অভিযোগ, একপ্রকার প্রকাশ্যেই ছাত্ররা ক্যাম্পাসে নেশা করেন। এমনকি একথাও শোনা গিয়েছে যে দু একজন অধ্যাপকও ক্যাপাসে মদ্যপান করেন। যদিও এসব কথাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জানা সত্ত্বেও এতদিন কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এবারও কতটা ব্যবস্থা নেবে তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জারি করা গাইডলাইনে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সুরক্ষার্থে ক্যাম্পাস ও হোস্টেলের গেটে বসানো হবে সিসিটিভি ক্যামেরা। প্রথম বর্ষের এক ছাত্র নিহত হওয়ার পরও গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে সিসিটিভি বসানো হবে না কেন? যদিও এ প্রশ্নের জবাবে রেজিস্টার স্নেহমঞ্জু রায় জানিয়েছেন, সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রদীপ নারায়ণ রায় জানিয়েছেন, ২০১০ সালেই ইসির বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রস্তাব পাস করা হয়েছিল। শুধু তাই নয় সেই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট ও অরবিন্দ ভবনের কডিডরে ক্যামেরা লাগানো হয়। যদিও এই ক্যামেরার কোন অস্তিত্ব বর্তমানে আর নেই। কারা ও কার মদতে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলো খুলে ফেলা হয়েছে?

সূত্রের খবর, বহুদিন আগেই মাওমাকুরা সিপিএমের শিক্ষক মন্ডলীর অধ্যাপকদের পরোক্ষ মদতে ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের একাংশের সহযোগিতায় ২০১০ সালের পর সমস্ত সিসিটিভি খুলে ফেলা হয়। যাতে মাওমাকুরা নিজেদের অসামাজিক কার্যকলাপ ও রেকেট চক্রকে চালিয়ে যেতে পারে। সিসিটিভি না থাকার ফলে সহজেই মাওমাকুরা যাদবপুর কে তাদের মুক্তাঞ্চল হিসেবে গড়ে তুলতে পেরেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোন নজরদারি না থাকাতেই প্রাক্তনী সহ বহিরাগতরা অনায়াসেই হোস্টেল কিংবা ক্যাম্পাসে ঢুকতে বেরতে পারে।