Last Updated on May 20, 2021 2:27 PM by Khabar365Din


৩৬৫ দিন। ফাঁস হয়ে গেল ভাজপা এবং তাদের এজেন্ট পদ্মপালের সুগভীর ষড়যন্ত্র। বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে অজুহাত দেখিয়ে বাংলার পদ্ম পালের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা ষড়যন্ত্র রচনা করেছে ভাজপা। গতকাল সংবাদ মাধ্যমের সামনে বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের পরিকল্পনা কিছুটা বলে ফেলেছিলেন পদ্মপাল। আজ রাজ্যের ৩ মন্ত্রী বিধায়কের গ্রেফতারির পরে মমতাকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের রাজ্য সভাপতির ভাষায় হুঁশিয়ারি দিতে গিয়ে সে কথাই প্রকাশ্যে এনে ফেলেন পদ্মপাল।

রাষ্ট্রপতি শাসনের ছক
বাংলার পদ্ম পাল টুইট করে বলেন, উদ্বেগজনক পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রীকে বলব, সাংবিধানিক রীতি অনুসরণ করুন ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করুন। আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পুলিশের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে দেওয়া হচ্ছে। দুঃখজনক। সম্পূর্ণ অরাজকতা ও নৈরাজ্য। পুলিশ-প্রশাসন চুপ। এর পরেই কার্যত রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার অভিযোগে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সম্ভাবনা হুঁশিয়ারি দিয়ে লেখেন, আশা করি এই অরাজকতা ও সাংবিধানিক কাটামোর ব্যর্থতার কী প্রভাব হতে পারে, আপনি উপলব্ধি করতে পারছেন। প্রতি মিনিটে পরিস্থিতি বিস্ফোরক হয়ে উঠছে। এখন সময় হয়েছে এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করা।
মমতাকে গ্রেফতারের দাবি দিলীপ ঘোষের
প্রথমে রাজ্য মন্ত্রিসভার ২ ক্যাবিনেট সদস্য গ্রেপ্তার এরপরে এবারে ভাজপা টার্গেটে মমতাকে গ্রেফতার করা। তাই পশ্চিম মেদিনীপুরের কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মমতার বিরুদ্ধে এফআইআর করলেন ভাজপা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মূলত নির্বাচনী প্রচারের সময় ভিন রাজ্য থেকে আসা ভাজপা নেতাদের বহিরাগত বলা এবং শীতলকুচি গণ হত্যাকাণ্ডে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের বিরোধিতা করায় মমতার বিরুদ্ধে হিন্দু-মুসলমানের মধ্যে দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগ এবং রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ।
সিবিআই এর বিরুদ্ধে তৃণমূলের অভিযোগ
বেআইনিভাবে দলের তিন নেতাকে পরোয়ানা ছাড়াই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই অভিযোগ তুলে এবার কলকাতা পুলিশকে পদক্ষেপ নিতে চিঠি লিখলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এদিন কলকাতার পুলিশ কমিশনার এর উদ্দেশ্যে চন্দ্রিমা লেখেন, মমতা বন্দোপাধ্যাযের নেতৃত্বে যখন দলের নেতারা এই অতিমারির মধ্যে মানুষকে কীভাবে বাঁচাবেন সেই চেষ্টা করছেন, তখন আশ্চর্যজনকভাবে দলের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এমনকী, গ্রেফতার করার আগে কোনও গ্রেফতারি পরোয়ানাও দেওয়া হয়নি তাঁদের। যদিও সিবিআই স্বাধীন তদন্তকারী সংস্থা, তাঁরা স্বাধীনভাবেই কাজ করবেন বলে আশা রাখি, কিন্তু সিবিআই কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্যপালের নির্দেশে কীভাবে চলছে, সেটা বুঝতে পারছি না। তাছাড়া রাজ্যপালই বা কীভাবে কাউকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দিতে পারেন, যখন আইনে এধরনের কোনও সংস্থান নেই।