Last Updated on November 25, 2021 4:46 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন- বন্যা প্রতিরোধে বাঁধের কাজ পরিদর্শনে বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি উদয়নারায়নপুরে। বৃহস্পতিবার দুপুরে মেজর ইরিগেশন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে উদয়নারায়নপুরে আসেন ষ্টান্ডিং কমিটির ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।
এদিনের এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন ষ্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান তথা পাথরপ্রতিমার বিধায়ক সমীর কুমার জানা,হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মন্ডল,বাদুড়িয়ার বিধায়ক আবদুর রহিম কাজী,বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ মন্ডল,ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার, সেচ দপ্তরের চিফ ইঞ্জিনিয়ার দেবাশীষ সেনগুপ্ত, সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার সুমন্ত্র চ্যাটাজী, এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার ( হাওড়া রঘুনাথ চক্রবর্তী, উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীক কুমার ঘোষ, উদয়নারায়নপুরের বিডিও প্রবীর কুমার শীট, উদয়নারায়নপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুলেখা পাঁজা সহ অন্যান্যরা।
এদিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা নদী বাঁধ পরিদর্শন করার পরে উদয়নারায়নপুর তাঁত হাটে একটি প্রশাসনিক বৈঠক করেন। উদয়নারায়নপুর আমতা ব্লককে বন্যার হাত থেকে বাঁচতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যেগে বিশ্ব ব্যাঙ্কের আথিক সহয়তায় ২৭০০ কোটি টাকা ব্যায়ে মেজর ইরিগেশন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে বর্ধমান, হুগলীর একটা অংশের পাশাপাশি হাওড়া জেলার বন্যা প্রতিরোধে কাজ শুরু হয়। প্রথম দফায় গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে উদয়নারায়নপুর থেকে কাজ শুরু হয়। প্রকল্পের জন্য প্রথম দফায় ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। সেইমত কাজ শুরু হয়। দামোদরের দূই পাড়ের বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু করে সেচ দপ্তর। যদিও এই বাঁধ নির্মাণে সমস্যা দেখা দেয়।
উদয়নারায়নপুরের বাসিন্দাদের বক্তব্য, দামোদরের পূর্ব পাড়ের বাঁধ উঁচু করা হলেও পশ্চিম পাড়ের বাঁধ সেভাবে উঁচু না হওয়ায় বন্যার জল আটকানো কার্যত অসম্ভব। তারা পূর্ব পাড়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পশ্চিম পাড়ের বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান। অন্যদিকে উদয়নারায়নপুরের মানুষের এই দাবিকে বিধানসভায় পেশ করেন বিধায়ক সমীর পাঁজা। আর তারপরেই বৃহস্পতিবার উদয়নারায়ণপুর আমতার নদী বাঁধ পরিদর্শনে আসেন বিধানসভার স্ট্যান্ডি়ং কমিটির সদস্যরা।