Last Updated on October 19, 2021 9:52 PM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন। নয়াদিল্লি। আনুষ্ঠানিকভাবে ভাজপা সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্ক ছিন্ন করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আজ লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার বাসভবনে গিয়ে তাঁর হাতে নিজের ইস্তফাপত্র তুলে দেন বাবুল সুপ্রিয়। গত ১৮ সেপ্টেম্বর তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি ৷ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার দিনেই বাবুল সুপ্রিয় জানিয়ে দিয়েছিলেন লোকসভার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি পেলেই তিনি ভাজপা সাংসদ পদে ইস্তফা দেবেন। যদিও তারপর থেকে একাধিকবার লোকসভার অধ্যক্ষের কার্যালয়ে চিঠি দিয়ে নিজের পদত্যাগপত্র দিতে যাওয়ার জন্য সময় চাইলেও পাননি বাবুল। এর পরেই গতকাল বাবুল টুইট করে জানান, আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার স্পিকার তাঁকে সময় দিয়েছেন। তিনি লেখেন, মঙ্গলবার সকাল ১১টায় আমার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার জন্য সময় দিয়েছেন। তাঁকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আর বিজেপিতে নেই। তাই, বিজেপি সাংসদ হিসেবে কোনও বেতন, সুযোগ-সুবিধে গ্রহণ করব না। আমি এই আসনে জয়ী হয়েছিলাম, আমার মধ্যে যদি কিছু থেকে থাকে, তা হলে আবার জয়ী হব।
তাঁর কাছেই আনুষ্ঠানিক ভাবে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেবেন। তার পরই আজ বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ স্পিকারের বাড়িতে পৌঁছান বাবুল।
ইস্তফা পত্র জমা দিয়ে অধ্যক্ষ্যের বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে বাবুল জানান, সাংসদ পদ ধরে রাখা অনৈতিক মনে হয়েছিল বলেই ইস্তফা দিয়েছেন। তারপর নিজেকে যেন অনেকটা মুক্ত বলে উপলব্ধি করছেন তিনি। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি আর এখন বিজেপির কেউ নই। তাই সাংসদ পদ আঁকড়ে ধরে রাখার অর্থ নেই। আমি পদত্যাগ করলাম।বিজেপি থেকেই আমি রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছি। প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, দলের সভাপতির প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তাঁরা আমার প্রতি ভরসা রেখেছেন। কিন্তু আমি দলটা ছেড়েছি, অন্তর থেকেই ছেড়েছি। তাই মনে করি যে বিজেপির হয়ে আমার সাংসদ পদটাও রাখা উচিত নয়।
শুভেন্দুকে পরামর্শ
তবে দল পরিবর্তন করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেভাবে নিজের নৈতিক দায়িত্ব পালনের জন্য ভাজপা থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি সাংসদ পদে ইস্তফা দিলেন তা দেখে নব্য ভাজপা নেতা শুভেন্দু অধিকারীর শেখা উচিত বলেও তীব্র আক্রমণ করলেন বাবুল। সম্প্রতি ভাজপা বিধায়কদের দলবদল করে তৃণমূলে আসার পরে তাদের বিধায়ক পদ ছেড়ে দেওয়া নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত নীতি কথা বলে চলেছেন নিয়মিত, তা বলার আগে নিজের পরিবারের ক্ষেত্রে তা মেনে চলার পরামর্শ দেন বাবুল। তিনি বলেন, আসানসোল আমার জন্য স্পেশাল জায়গা। আসানসোলের প্রতি আমার আলাদা দায়িত্ব আছে। শুভেন্দুর সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব ছিল, এখনও আছে। শুভেন্দু আমার সম্পর্কে কড়া ভাষায় কথা বলে, কারণ ওটা রাজনীতির স্বার্থে ওকে করতেই হবে। আমি নৈতিকভাবে ঠিক থাকতেই সাংসদ পদ ছেড়ে দিলাম। শুভেন্দুর বাবারও উচিত সেটাই করা। শুভেন্দু যেন ওঁর বাবাকে গিয়ে উপদেশগুলো দেন।