Last Updated on September 21, 2021 12:25 AM by Khabar365Din
৩৬৫ দিন । সুলগ্না দাস । মরশুমের বিদায় বেলায় এল সুখবর! আসন্ন দুর্গাপুজোকে উপলক্ষ্য করে রাজ্যে আসতে চলেছে ২,০৮০ মেট্রিকটন ইলিশ মাছ। সম্প্রতি, রপ্তানির অনুমতি দিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকার। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, মোট ৫২ টি প্রতিষ্ঠানকে রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকে ৪০ মেট্রিকটন ইলিশ পাঠাতে পারবে। এ প্রসঙ্গে হাওড়া হোলসেল ফিশ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন এবং ফিশ ইম্পোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারী সৈয়দ আনয়ার মাকসুদ জানান, খুব শীঘ্রই বাংলায় ঢুকবে এই বিপুল পরিমাণ পদ্মার ইলিশ। বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে হওয়া বৈঠকে এই সিদ্ধান্তে সম্মতি মিলেছে।’ তথ্য বলছে, গত বছর (২০২০ সাল) রাজ্যে এসেছিল ১৪৫০ মেট্রিকটন ইলিশ মাছ। এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে রাজ্যে ঢুকেছিল ৫০০ মেট্রিকটন ইলিশ। তবে, এবারে গত বছরের থেকেও বেশি পরিমাণে ইলিশ ঢুকতে চলেছে।
২০১২ সাল থেকে ইলিশ পাঠানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল বাংলাদেশ সরকার। তারপর দীর্ঘ ৬ বছর বন্ধ ছিল আদানপ্রদান। তারপর, আবার ইলিশ পাঠাতে শুরু করে প্রতিবেশী দেশ। চলতি বছরে হিমঘরের ইলিশই ছিল একমাত্র ভরসা। উপকূলবর্তী এলাকায় কিছু টাটকা মাছ পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় সেই পরিমাণ ছিল একদমই নগণ্য। ফলে, ভুরিভোজের পাতে অধরাই থেকে গিয়েছে ইলিশ। এর পাশাপাশি ইলিশের অভাবের জন্যে একাধিকবার ব্যবসায়ীরা দায়ী করেছেন, খারাপ আবহাওয়াকে। তাঁদের বক্তব্য, আবহাওয়া খারাপ হওয়ার কারণে একাধিকবার বাধাপ্রাপ্ত হয়ছে মাছ ধরার প্রক্রিয়া। বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত একাধিক নিম্নচাপের কারণে মৎস্যজীবীদের মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করেছিল আবহাওয়া দফতর। ফলে সবমিলিয়ে কলকাতার বাজার থেকে উধাও হয় ইলিশ। কিন্তু, শেষমেশ বাঙালির রসনা তৃপ্তির উপাদান আসছে রাজ্যে। চলতি বছরে কলকাতার বিভিন্ন বাজারে ইলিশ বিক্রি হয়েছে কোথাও দেড় কোথাও দু হাজার। উৎসবের মরশুমে সেই মাছই বিকিয়েছে আড়াই হাজার টাকাতেও। সেখান থেকেই পদ্মার ইলিশের স্বাদ পেতে আরও একবার মুখিয়ে রয়েছে ভোজনরসিকরা।