Post Poll Violence:
রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত নিয়ে সিবিআইকে চ্যালেঞ্জ রাজ্যের

0

Last Updated on September 1, 2021 11:01 PM by Khabar365Din

৩৬৫ দিন। বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় সিবিআই তদন্ত বাতিল করার দাবিতে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন জমা দিল রাজ্য সরকার। ভোট পরবর্তী হিংসায় বহু ভাজপা কর্মী নিহত হয়েছেন বলে ভাজপা অভিযোগের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। মূলত ভাজপা নেতাদের নিয়ে গঠিত সরাসরি ভাজপা নিয়ন্ত্রিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জমা দেওয়া রিপোর্টের প্রেক্ষিতেই কলকাতা হাইকোর্টের পাঁচ বিচারপতির বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছিল।
আজ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জমা দেওয়া পিটিশনে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নামে যে রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল বাংলার ভোট পরবর্তী হিংসার প্রেক্ষিতে, তার সম্পূর্ণ ভাজপা নেতাদের কথায় তৈরি করেছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের শীর্ষে বসে থাকা সক্রিয় ভাজপা নেতারা। কেন্দ্রের শাসক দলের প্রতি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং পক্ষপাতিত্বমূলক এই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্ট যেভাবে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে তা ন্যায় সঙ্গত নয়। শুধু তাই নয় সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্ত শুরু করার পর থেকে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় দেখা গিয়েছে বাংলার ভাজপা নেতাদের সঙ্গে নিয়ে তাদের দেখানো পথে তদন্তের অভিনয় করে চলেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। মূলত তৃণমূল শাসিত বাংলার সরকারকে ব্যর্থ এবং অকর্মণ্য প্রমাণ করার জন্যই ভাজপা নেতাদের কথায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের নামে এই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত তদন্ত বন্ধ করুক দেশের সর্বোচ্চ আদালত।
সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে বাংলার সরকারের পক্ষ থেকে সিবিআই তদন্ত বাতিলের আবেদনের জন্য যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট প্রসঙ্গে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চের করা পর্যবেক্ষণের একাধিক পয়েন্ট।

৯৪ অনুচ্ছেদে অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বাংলায় ভোট হিংসা নিয়ে সরাসরি দায়ী করা হয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। নির্বাচন কমিশন আদালতে জমা দেওয়া এফিডেভিট এ দাবি করেছে ভোটের সময় রাজ্য সরকারের হাতেই রাজ্যের প্রশাসন ছিল। একথা থিওরি অনুযায়ী সঠিক হলেও বাস্তব সম্মত নয়। রাজ্য সরকার লিখিতভাবে আদালতের কাছে জানিয়েছে ৫ মে পর্যন্ত রাজ্যের প্রশাসন চলেছে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে। এ কথা অস্বীকার করার কোন জায়গা নেই যে রাজ্যের প্রশাসনিক রাজ্য সরকারের কাছে থাকলেও ভোট প্রক্রিয়া চলার সময় নির্বাচন কমিশন নিজেদের ইচ্ছেমতো রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের তাদের পথ থেকে অপসারণ অথবা বদলি করেছেন।
যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া চলার সময় হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে দায় এড়িয়ে যেতে পারে না নির্বাচন কমিশন।কমিশনের রিপোর্ট এবং তদন্ত রাজনৈতিক দল নিরপেক্ষ হওয়া উচিত ছিল। একটি মাত্র দলকে টার্গেট করে তদন্ত রিপোর্টে বানানো অবাঞ্ছিত।রায়ের ১৫১ অনুচ্ছেদ ইন কলকাতা হাইকোর্টের ৫ বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় স্বীকার করে নিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টের কাছে জমা দিয়েছে তা নিরপেক্ষ নয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here